শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

|

ফাল্গুন ৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আড়াইহাজারে মিথ্যা মামলায় হয়রানী সর্বস্ব হাড়িয়ে প্রবাসী এখন অটোচালক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:০১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আড়াইহাজারে মিথ্যা মামলায় হয়রানী সর্বস্ব হাড়িয়ে প্রবাসী এখন অটোচালক 

ফাইল ছবি

নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রবাসীর কষ্টার্জিত টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার আত্মসাত করে প্রবাসী কে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুবাই ফেরৎ আলী হোসেন, স্ত্রী,শশুর ও শাশুরীর নামে আড়াইহাজার একটি  থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের ইলুমদী গ্রামের লিয়াকতের ছেলে, দুবাই প্রবাসী আলী হোসেন। দাম্পত্য জীবেনের তাদের সাকিব হাসান রিফাত(১৩) ও ওবাইদুর রহমান রাহাত(৯) নামে ২ পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রবাসে থাকা কালীন স্ত্রী মোসা: ফারজানা ও শাশুরী ইয়ারুন বেগেমের নামে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে  ৪০ লক্ষ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার পাঠান।যা বর্তামানে স্ত্রী মোসা: ফারজানা ও শশুর জামান মিয়ার কাছে আছে। আলী হোসেন প্রবাসে  থাকার সুযোগে তার স্ত্রী ফারজানা পরকিয়ায় লিপ্ত হয়।বিভিন্ন মাধ্যমে পরকিয়ার সংবাদ জানতে পেরে সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ সালে স্ত্রী ও ২ পুত্র সন্তানকে দুবাই নিয়ে যায়।প্রবাসে থাকাকালীন ফারজানা পুনরায় পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে কষ্টার্জিত টাকা পয়সা নষ্ট করিতেছে জানতে পেরে আলী হোসেন তার  শশুর জামান মিয়া ও শাশুরী ইয়ারুন বেগমকে মোবাইলে জানাইলে জামান মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিয়া মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেয়।আলী হোসেন নিরুপায় হয়ে স্ত্রী সন্তানকে দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। ঐ সময় স্ত্রী ফারজানা স্বামীর নামে দুবাই আদালতে মামলা করলে আদালত আলী হোসেন কে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ৫ দিন আগে পরকিয়া প্রেমিকের সহায়তায় দেশে আসে। এ বিষয়ে শশুর শাশুরীকে মোবাইলে জানাইলে তারা পুনরায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে স্ত্রী মোসা: ফারজানা শশুর শাশুরীর সহযোগিতায় গত ১২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে আলী হোসেনের বসত বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও মুল্যাবান জিনিসপত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চেলে যায়। এ সময় আলী হোসেনের স্ত্রী ফারজানার কাছে জানতে চাইলে বলে “ তুই দেশে আয় তর নামে মামলা দিবো”। প্রবাসে থাকাকালীন আলী হোসেনের পিতা মাতা, ভাই বোনদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, টাকা পয়সা  স্বর্ণালংকার আত্মসাতের জন্য আলী হোসেন কে মামলায় জড়ায়, মামলায় উল্লেখিত সময়ে আলী হোসেন প্রবাসে ছিলো।আলী হোসেন অভিযোগে আরো উল্ল্যেখ করেন যে,প্রবাসে থাকার সময় স্ত্রী ফারজান আবারো পরকিয়ায় লিপ্ত হয় এক পর্যায়ে স্ত্রী সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে  স্ত্রী শশুর শাশুরী আলী হোসেন কে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং স্ত্রী বলে যে সে আর আলী হোসেনের সংসার করিবেনা।মিথ্যা মালা দিয়ে জেল  খাটানোর হুমিকি দেয়। শশুর শাশুরীর প্ররোচনায় ও কুপরামর্শে আত্মসাতকৃত ৪০ লক্ষ টাকা ও  স্বর্ণালংকার কিছুই ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেয় ফারজানা । এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে আপোস মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন আলী হোসেন।