সংগৃহীত
অমর একুশে গ্রন্থমেলার চতুর্থ দিন শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই এদিন মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।
তবে এদিন মেলা প্রাঙ্গণে স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টিয়েই সময় পার করেছেন তারা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিনের সকালে প্রাণের মেলায় আসা প্রায় প্রত্যেকেই বই কেনা থেকে ঘুরে ঘুরে বই দেখার প্রতিই মনোযোগী ছিলেন বেশি। এ সময় অন্যপ্রকাশ, অনন্যা, ঐতিহ্য, বাতিঘর, অ্যাডর্ন, বেঙ্গল পাবলিশার্স, মাওলা ব্রাদার্স, প্রথমাসহ বিভিন্ন স্টলে ভিড় ছিল।
কথা হয় মেলায় আসা শিশির আহমেদের সঙ্গে। ছুটির দিনে পুরো পরিবার নিয়ে তিনি এসেছেন বইমেলায়। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন বই। কথা হলে বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকলে একসঙ্গে বইমেলায় ঘুরতে এলাম। আজ ঘুরে দেখছি। পছন্দের বইগুলো লিস্ট করে রাখছি, আগামীতে কিনবো।
প্রকাশকরাও জানালেন তেমন কথা। বিভিন্ন স্টল ঘুরে প্রকাশকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অন্যবারের তুলনায় মেলায় এবার জনসমাগম বেশ ভালো। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন। সংখ্যায় কম হলেও বই কিনছেন অনেকেই।
এদিকে শিশুপ্রহর ঘোষণা না করা হলেও সকাল থেকেই মেলায় শিশুদের পদচারণাও ছিল বেশ। বাবা-মায়ের হাত ধরে একদিকে তারা যেমন হেঁটে বেড়িয়েছে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ, তেমনি বইও কিনেছে রং-বেরংয়ের।
এর আগে মেলার তৃতীয় দিন নতুন বই এসেছে ৪১টি। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে আনোয়ারা সৈয়দ হকের কিশোর জীবনীপ্রন্থ ‘ছোটদের বঙ্গমাতা’, জনপ্রিয় প্রকাশনী থেকে শ্যামসুন্দর শিকদারের কাব্যগ্রন্থ ‘যুদ্ধ আসে যুদ্ধ যায়’, আগামী প্রকাশনী থেকে হাসনাত আবদুল হাইয়ের শিল্পকলা বিষয়ক গ্রন্থ ‘সবার জন্য নন্দনতত্ত্ব’, আনোয়ারা সৈয়দ হকের গবেষণামূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘বঙ্গমাতা ও দুই কন্যার কথা’, কিংবদন্তী পাবলিকেশন থেকে ড. জালাল ফিরোজের গবেষণাগ্রন্থ ‘পার্লামেন্ট কীভাবে কাজ করে: বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’, বেহুলা বাংলা থেকে সোহরাব পাশার কাব্যগ্রন্থ ‘নিদ্রিত পাখির গান’, সপ্তবর্ণ থেকে মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের ভ্রমণ বিষয়ক বই ‘সুদান মিশনে মুজিববর্ষ’ উল্লেখযোগ্য।