বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

আশ্বিন ৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

ফাইল ছবি

পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় করা মামলায় রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।  

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান দেওয়ান এ আবেদন করেন।

রিমান্ডের বিষয়ে আজ দুপুরেই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে শুনানি হবে।

রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানকে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৩০ এপ্রিল মাহবুব রহমান মিধু বাদী হয়ে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মিজানুর এ মামলার ৪নং এজাহারনামীয় আসামি।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে আসামি রফিকের নির্দেশে মেসার্স ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও সিটি মাল্টি অ্যাগ্রিকালচারাল কোম্পানির সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করেন আসামিরা। সম্পত্তিতে থাকা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ও কেটে চুরি করে নিয়ে যান তারা।  

এ সময় কোম্পানির সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা তিনজন নিরাপত্তাকর্মী বাধা দিলে আসামিরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে তাদের নীলা-ফুলা জখম করেন। আসামি কাওসার আহমেদ অপু মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় আসামিরা হুমকি দিয়ে বলেন- এই সম্পত্তির মালিক তারা।  বলেন, ‘যদি এই সম্পত্তি দখলে রাখতে চাস, তাহলে তোদের বসকে বলবি পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। যদি চাঁদা না দেয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও লোকজন নিয়ে এসে এই সম্পত্তি দখল করে নেব এবং যে বাধা দেবে তাকেই মেরে লাশ গুম করে ফেলব’।

আসামিরা কোম্পানির সম্পত্তিতে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে চুরি করে নিয়ে দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, খুনসহ ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।