মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ৩১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের পদত্যাগের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ১৫ আগস্ট ২০২৪

পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের পদত্যাগের দাবি

ফাইল ছবি

সদর উপজেলার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ  সরকারের পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। 

বৃহস্পতিবার  (১৫ই আগস্ট)  বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা সুলতানার কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় অভিবাবকরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের পালিয়ে আছেন৷ তাছাড়া তিনি অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও স্বপদে বহাল আছেন ক্ষমতার অপ্পব্যবহার করে। তার সময়ে বদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ন আর দূর্নীতি হয়েছে। আমরা দূর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই।  বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য রেজাউল করিমের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমানের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে চার বছর ধরে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভজেন্দ্রনাথ সরকারকে রেখেছেন। 

২০২০ সালের ১৪ই জানুয়ারি পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের কর্ম দিবস শেষ হয়, তারপর থেকে তিনি স্থানীয় সংসদ এবং রেজাউল করিমের অবৈধ ক্ষমতার বলে দীর্ঘ চার বছর ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দখল করে রয়েছেন। 

তাছাড়া পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের হিসাব কোন কিছুই খোলামেসা করেননি প্রধান শিক্ষক বজেন্দ্রনাথ সরকার ও রেজাউল করিম, অর্থ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারীর প্রায় চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। 

বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ লুটপাট অবৈধভাবে চার বছর ৮ মাস পদে থাকাসহ নানা অভিযোগ রয়েছেন প্রধান শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার ও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা সুলতানা জানান, প্রধান শিক্ষকের অবসরে যাওয়ার কথা ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি। কিন্তু গত চার বছর স্থানীয় সাবেক সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের দোহাই দিয়ে স্বপদে বহাল ছিলেন। আজকে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে আমার মাধ্যমে ইউএনও এর কাছে স্মারক দিয়েছেন। আমি সেই স্মারকলিপি নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে যাচ্ছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ইউএনও স্যার নেবেন।
 

আরো পড়ুন