ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাড়ি মাহীনের। সহজ সরল ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে প্রেমে পড়ে যায় মেঘলা নামে একটি মেয়ের। চলতে থাকে প্রেমের কাহিনী।
এর মাঝে একদিন রাতে রিকশায় যাবার পথে কেউ একজন পথ আটকে দাঁড়ায়। ফতুল্লার মাহীনকে কি প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছেন মেঘলা যিনি আসলে অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী?
এবার ভালোবাসা দিবসে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের বুক পকেটের গল্প নাটকে একটি দৃশ্য এটি। নাটকটিতে এরকম নানা রহস্য রয়েছে। চমৎকার গল্পের নাটকটি ইতোমধ্যে দর্শক জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। নাটকের গল্পে মাহীনের বাড়ি ফতুল্লায়। তাকে আর মেঘলা যিনি নাটকে আবার আলেয়া নামেও পরিচিত তাকে নিয়ে এগিয়ে যান গল্পটি।
আলেয়া চরিত্রে নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তরুণ অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বী।
ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত ‘বুক পকেটের গল্প’ নাটকটি দেখে মুগ্ধ দর্শক থেকে সমালোচক। চলতি বছরের অন্যতম সেরা নাটক হয়ে থাকবে ‘বুক পকেটের গল্প’- এমন মন্তব্যই করছেন সাধারণ দর্শক। দেড় ঘণ্টায় তিন জুটির তিনটি অদ্ভুত প্রেমের গল্প, যেখানে চরিত্রগুলো পরস্পরের শাশ্বত ভালোবাসা পেতে চায়। নাটকের গল্পে প্রতিটি চরিত্রই নজর কেড়েছে। বিশেষভাবে স্পর্শ করেছে এর সংলাপগুলো।
নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন জাহিদ প্রীতম। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন মীর রাব্বী, প্রিয়ন্তি উর্বী, শ্বাশত দত্ত, মারিয়া শান্ত, হুরাইরা তানভীর, খান আইশা। পরিচালক জাহিদ প্রীতম জানালেন, আগে মিস্ট্রিরিয়াস কাজ করেতেন। এই প্রথম রোমান্টিক গল্প বানালেন।
মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের প্রযোজনায় কেএস এন্টারটেনমেন্টের ইউটিউবে ১৬ ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত হয়েছে ‘বুক পকেটের গল্প’। প্রকাশের পর থেকে প্রশংসায় জোয়ারে ভাসছে নাটকটি। কেউ কেউ লিখছেন, শুধু ভ্যালেন্টাইন নয়, চলতি বছরের অন্যতম সেরা নাটক হয়ে থাকবে এটি!
পরিচালক বলেন, সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি ক্রিটিকসদের থেকেও পটিজিভ রেসপন্স পাচ্ছি। তারা একাধিকবার খুঁটিনাটি দিক, সংলাপ নিয়ে লেখালিখি করছে। এর পাশাপাশি আমাদের নাটক ইন্ডাস্ট্রির যারা সেলিব্রেটি ডিরেক্টর আছেন তারাও ফোন করে বাহবা দিচ্ছেন।
জাহিদ প্রীতম বলেন, শুরুতে এমনভাবে গল্প সাজাচ্ছিলাম যেন একাধিক গল্পকে কানেক্ট করবে। এটা নিয়ে রিসার্চ করতে গিয়ে দেখলাম অ্যানথোলজি নয়, এটাকে হাইপার লিঙ্ক বলে। গল্প ঠিকঠাক হওয়ার পর আর্টিস্ট সিলেকশন করতে পারছিলাম না। কারণ, গল্প ডিম্যান্ড অনুযায়ী আমার টার্গেট ছিল কিছুটা অপরিচিত ফেইসের আর্টিস্ট। এরমধ্যে একদিন মীর রাব্বী ভাইকে গল্পটা শোনাই। তিনি পছন্দ করে বলেছিলেন সমস্যা নাই। কিন্তু প্রযোজক রাজী হবে কিনা দেখেন। প্রযোজক কামরুজ্জামান ভাইকে বিষয়টি জানালে, তিনি আমার উপর ভরসা রেখেছেন। ভিউ হবে কিনা, ব্র্যান্ডিং পাবো কিনা এসব ভাবা বাদ দিয়ে গল্পে ফোকাস করেছি। রিলিজের পর থেকে আমরা প্রত্যেকেই যে পরিমাণ রেসপন্স পাচ্ছি সেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।