সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মহামারি আকার ধারণ করেছে। নিরাপদে নেই পশ্চিমবাংলাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৯ হাজারের কাছাকছি। এর মধ্যে দুই হাজার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একদিনে মৃত্যু ২৬ জনের। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সোমবার (১৯ এপ্রিল) জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের কাছে বাড়তি ওষুধ ও প্রতিষেধক চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে রাশ টানতে গতকালই বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন। এদিন মমতা বলেন, গত চারদিনে কোভিড রোগীদের জন্য এক হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে। আরও সাড়ে চার হাজার বেড তিন থেকে চারদিনের মধ্যে বাড়ানো হবে।
করোনার জন্য ১০০ হাসপাতাল রেডি করা হচ্ছে। নার্সিং হোম নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলের রুমকেও হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। রাজ্যে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হবেন না। করোনা মোকাবিলায় সব রকমভাবে তৈরি রাজ্য সরকার।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নে মমতা বলেন, রাজ্যে লকডাউন করার এখনই কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি মনে করি না নাইট কারফিউ করে খুব একটা করোনা মোকাবিলা করা যায়।
এদিনই তিনি রাজ্যের সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আরও তিন দফার ভোট আছে। তবে আর কোনো বড়মাপের জনসভা তৃণমূলের তরফে করা হবে না। সভা বাতিল করলেও আমি মানুষের পাশে আছি। সজাগ থাকুন, অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না।
অপরদিকে ভারতের মহারাষ্ট্রের পর দিল্লির অবস্থা সবচেয়ে আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২৫ হাজার ৪৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মাত্রাছাড়া সংক্রমণের জেরে সোমবার রাত থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য দিল্লিতে কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য এই ছোট লকডাউন। যেভাবে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে তার জন্য প্রয়োজন এই লকডাউন। ’
সাতদিনের কারফিউতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। বাকি সব বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পোস্ট