রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বিস্ফোরণে ড্রামের উপরে দাঁড়ানো শ্রমিক ছিটকে পড়ে নারকেল গাছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:০১, ২৬ জুন ২০২৪

বিস্ফোরণে ড্রামের উপরে দাঁড়ানো শ্রমিক ছিটকে পড়ে নারকেল গাছে

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে আগুন লেগে তেলের ড্রামগুলোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটনায় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় উঠে এসেছে সেসময় ভয়ংকর চিত্র।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে দুপুর ২ টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১০ টি ইউনিট।

এদিকে বিকেল ৪ টা ১২ মিনিটের দিকে ট্রলারটিকে কোন শ্রমিকের লাশ আছে কিনা খুঁজতে নামতে যাবার পূর্বে হটাৎ করেই আবারো আগুন জ্বলে উঠে। তাৎক্ষনিক ১৫ মিনিট ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এর আগে আগুন নিয়ন্ত্রনের পর ট্রলার থেকে এক শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাতক্ষনিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আরেক শ্রমিককে ঘটনার পর পরই ঢাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জসিম জানান, এম ভি মনপুরা ট্রলারটি দুপুরে সাড়ে ১২ টার মধ্যেই মালামাল লোড করে। ডিপোর শ্রমিকরা মালামাল লোড করে দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসে। জেটিতে থাকা অবস্থায় অনেক শ্রমিক এ বিস্ফোরণ দেখতে পায়। 

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টায় ট্রলারটিতে দূর থেকে দেখা যায় সেখানে একজন তেলের ড্রামের উপরে আর বাকি ৩ জন ভেতরে আছেন। এসময় ইঞ্জিন চালু দিতেই বিস্ফোরণ হয় বিকট শব্দে। আশেপাশের এলাকা কেঁপে উঠে বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণের সাথে সাথে তেলের ড্রামের উপরে থাকা শ্রমিক ছিটকে নারকেল গাছে পড়ে। পরে সে আবার পানিতে পড়ে যায়। এই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে বাকি আর কোন শ্রমিককে এরপর দেখা যায়নি।

তিনি আরো বলেন, একজন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে এখানে রাখা হয়েছে আগুন নেভার পর। এটিও পুড়ে গেছে। বাকিদের অবস্থা এখনো বুঝা যাচ্ছেনা। 

জসিম আরো জানান, ঘটনার পর পর ডিপোর শ্রমিক ও স্থানীয়রা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। তবে ফায়ার সার্ভিস আসে ২ টারও পরে। 

এর আগে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সব তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয় । বিস্ফোরণের শব্দে মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানাসহ আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান।

ডিপো সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রলারে ৪ জন শ্রমিক ছিলেন। তারা ভেতরে রান্না করছিল। এসময় সেখান থেকে হয়ত আগুন লাগতে পারে। ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব তেলবাহী ড্রাম অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি।