বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কাশফুলের নগরী নাভানা ভূঁইয়া সিটি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ০৪:২০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

কাশফুলের নগরী নাভানা ভূঁইয়া সিটি 

কাশফুলে ছেয়ে গেছে নাভানা ভূঁইয়া সিটি

খণ্ড খণ্ড সাদা মেঘের মধ্য দিয়ে দেখা যায় বিশাল নীল আকাশ। শুভ্র সাদা রঙের কাশফুলে ছেয়ে গেছে চারদিক, এ যেনো এক কাশফুলের নগরী। চারদিকে অপরূপ শোভা ছড়ায় কাশফুল। বায়ু প্রবাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দেয় কাশফুল। শূন্যে উড়ে বেড়ায় কাশফুলের ছোটছোট অংশ। প্রতিদিন বিকেল হলেই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সববয়সী মানুষের বিনোদনের খোরাক জোগায় এই কাশফুল নগরের প্রতিটি স্থান। এই কাশফুল নগরের অবস্থান নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরের নাভানা ভূঁইয়া সিটি। 

কাশফুল মূলত শরৎকালের নিজস্ব ফুল। তবে বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সঠিক শরৎকাল শনাক্ত করাই যেখানে কষ্টকর, সেখানে শরৎকালীন বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করা দুর্বহ।নাভানা ভূঁইয়া সিটি মূলত বালু দিয়ে ভরাট করা একটি মাঠ, যেখান থেকে প্লট করে কেনা-বেচা করা হয়। বালু দিয়ে ভরাট হওয়ার কারণে প্রতি শরৎকালের শুরুতেই জন্ম নেয় কাশফুলের বীজ। শরতের মাঝামাঝি সময়ে ফুটে কাশফুল। একেকটা কাশফুলের উচ্চতা ৫ থেকে ৮ ফিট হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রলেপ বুলিয়ে সৃষ্টি হওয়া কাশফুলের মোহে আকৃষ্ট হয়ে বিনোদনের জন্য ভীড় করে মানুষ। শিশু-কিশোররা সাইকেল নিয়ে দু'পাশে কাশফুলের প্রাচীর দিয়ে ঢাকা প্রশস্ত রাস্তায় সাইকেল চালায়, পরিবারবর্গ নিয়ে ঘুরতে আসে নব দম্পতি। 

কাশফুলের এ নগরকে কেন্দ্র করে আশেপাশে ছোট ছোট ভাসমান দোকান বসে বিকেলবেলা। যেখানে পাওয়া যায় হরেকরকমের শিশুদের খেলনা, নানান রঙের-ঢঙের কসমেটিকসের দোকান যেখান থেকে দেখেশুনে কসমেটিকস কিনছেন কাশফুল নগরীতে ঘুরতে আসা নারীরা। 

নিজের সাইকেলে চড়ে এই কাশফুলের নগর ঘুরতে আসা প্রাথমিকের শিক্ষার্থী রাকিব উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, বিকেলবেলা সাইকেল নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বন্ধুরা বললো কাশফুল দেখতে যাবে। তাই ওদের সাথে সাইকেলে চড়ে এসে পড়লাম। এত কাশফুল দেখে অনেক ভালো লাগছে। 

দশ বছরের শিশু সন্তান রাজুকে কাশফুল দেখাতে নিয়ে আসা পিতা রাশেদুল ইসলাম বলেন, সারাদিন কাজ করি। নিজের ছেলেকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে পারি না। তার উপরে মহামারী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি তো রয়েছেই। তাই ছেলে নিয়ে নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে আসলাম। এখানে এসে আমার বাচ্চার আনন্দ মাখা মুখ দেখে মন ভালো হয়ে গেছে। 

এদিকে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসা কামরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও এখানে সস্ত্রীক ঘুরতে এসেছি। এখানে আসলে মন ভালো হয়ে যায়। একসাথে এত কাশফুল অন্য কোথাও আমি দেখি নাই।