রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বৃষ্টির অজুহাতে সবজির বাজার চড়া, পেঁয়াজের পর বেগুনের সেঞ্চুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১২ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ২০:৪১, ১২ জুলাই ২০২৪

বৃষ্টির অজুহাতে সবজির বাজার চড়া, পেঁয়াজের পর বেগুনের সেঞ্চুরি

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে ভারী বৃষ্টির কারণে বাজারগুলোতে সবজির দাম চড়া। কাঁচা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই অস্থিরতা। কখনো দাম সামান্য কমলেও কয়েকদিনের মধ্যেই আবার বেড়ে যায়।  

বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজিই বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। টমেটো ২০০ টাকা কেজি এবং পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। উচ্চমূল্যের বাজারে নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। প্রতিনিয়তই বাজারে এসে হিমশিম খেতে হয় এসব মানুষের।  

সবজির বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দাবি করছেন, বন্যায় ও বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কমে গেছে, তাই দাম বাড়াতে হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দিগুবাবুর বাজারসহ বেশকিছু বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজিই বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে।  

আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। সপ্তাহের ব্যবধানে টমেটো কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০- ২০০ টাকায়। মানভেদে প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৫০- ১৭০ টাকায়, শসা ৮০-১২০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে হঠাৎ করে বেগুনের দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। আজ বাজারে লম্বা বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে,  যা কিছুদিন আগেও ছিল ৮০-১০০ টাকায়। আর সবুজ গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০- ১০০ টাকায়। কালো গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।  

বাজারের সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি জানান, বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৮০-৯০ টাকায়, পেঁপে ৫০-৬০ টাকায়, ঢেঁড়স  ৭০- ৮০ টাকায়, পটল ৫০-৬০ টাকায়,  চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০- ১২০ টাকায়, কচুর লতি ৮০- ১০০ টাকায়, কচুরমুখী ১০০- ১২০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায়। প্রতিটি লাউ ৭০- ৮০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে।

বাজারে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক জুয়েল। তিনি বলেন, লাল শাক ছিল ১০ টাকা করে। সেটা আজ কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকা করে। বাচ্চাকে খাওয়াব বলে দুই আঁটি লাল শাক কিনেছি ৬০ টাকায়। আমি তো কিনতে পারছি, কিন্তু যাদের ইনকাম কম তারা শাক-ভাতও খেতে পারবে না। শাক-ভাতেও এখন স্বস্তি নাই।  

প্রায় দেড় মাস ধরে কোরবানির ঈদের আগে থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।  

বাজারে কমদামি ভারতীয় পেঁয়াজের সঙ্গে দেশি পেঁয়াজ মিশিয়ে বিক্রি করছে অনেকেই এমনটি জানিয়েছেন।  

এলাকার মুদি দোকানি মেহেদী হাসান সৌরভ বলেন, গত সপ্তাহ দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ৯৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। তবে এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা হয়েছে। এই দাম শুনলে ক্রেতারা তেমন একটা কিনতে চায় না। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কম হলেও বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি বাজারে দেশী পেঁয়াজের সঙ্গে নিম্নমানের ভারতীয় পেঁয়াজ মিশিয়ে বিক্রি করছেন অনেকে। ফলে দেশি পেঁয়াজের দামে বিক্রি হচ্ছে কম দামি ভারতীয় পেঁয়াজ। যদি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যেত তাহলে দাম হতো সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত।  

বাজারে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে। যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা করে।