ফাইল ছবি
ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে দেশের বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সুতা আমদানি করতে পারবে।
গত মাসের ২৯ টা আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাস্টমসের একটি প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রজ্ঞাপনটি প্রথম ছকের ৪ নং ঘরে লেখা আছে, আমদানিযোগ্য পণ্য সুতা (কাস্টমস বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্ত শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বন্ড লাইসেন্সের আওতায় আমদানীয় সুতা ব্যতীত) ও গুড়া দুধ ব্যতিত অন্যান্য সকল প্রকার আমদানিতব্য পণ্য। এই ছকের বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুপাশে ব্যারিকেট দেয়া ভেতরের যে লাইনটি রয়েছে তা হলো, কাস্টমস বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্ত শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বন্ড লাইসেন্সের আওতায় আমদানীয় সুতা ব্যতীত। এই লাইনে স্পষ্ট হয় যে, লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্ড প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের বেনাপোল দিয়ে সুতা আমদানি করতে পারবে।
অতীত পর্যবেক্ষণে জানা যায়, ২০০৪ সালে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ২০০৬ সালে বিকেএমইএর তৎকালীন সভাপতি ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের চেষ্টায় ভারত থেকে সুতা আমদানি অনুমোদনের পর তা পূর্ণরূপে চালু করা হয়। ওই সময় এক এলসিতে যত পরিমান সুতা আমাদানি করা হবে সেই পরিমাণ সুতা এক চালানে আমদানি করে আনতে হতো কিন্তু ২০২২ সালে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে ১ এলসিতে, উদাহরণস্বরূপ ১০০ টন সুতা আমদানির এলসি করা হলেও তা ভেঙে ভেঙে পার্ট শিপমেন্টে আমদানি করে আনা যায়। বর্তমানে বেনাপোল দিয়ে সুতা আমদানির বিষয়টি এখনো বলবৎ রয়েছে। কিন্তু দেশের একটি অসাধু চক্র গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে যে, ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ হয়েছে।
২৯ শে আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাস্টমসের ওই প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ'র নব নির্বাচিত নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম জানান, প্রজ্ঞাপনের বিষয়টিতে খোদ অনেক ব্যবসায়ী সংগঠনের গার্মেন্ট মালিকরাও বিভ্রান্ত হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে মূলত যাদের বন্ড লাইসেন্স রয়েছে তারা ভারত থেকে উদাহরণস্বরূপ ১০০ টন সুতা এলসি করলেও পর্যায়ক্রমে এমন একশ টন সুতা পার্ট শিপমেন্টে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বেনাপোল দিয়ে দেশে সুতা আমদানি করতে পারে।
তিনি আরো জানান, দেশের একটি অসাধু চক্র ওই প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে যে বেনাপোল দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ কিন্তু বিষয়টি আসলে একটি গুজব, যা সঠিক নয়।