ফাইল ছবি
ফরহাদ আমাকে বাঁচা, আমি আগুনের মধ্যে আছি। সীতাকুণ্ডে ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর এভাবে ফোনে চাচাতো ভাই ফরহাদের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল মোমিনুল হক।
শনিবার (৪ জুন) রাত দেড়টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের মরদেহ ধরে কান্না করতে করতে ফরহাদ বলছিলেন মোমিনুলের সঙ্গে সর্বশেষ কথপোকথনের কথা।
ফরহাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাই মোমিনুল হক আমাকে বাঁচাতে বলেছিল, আমি বাঁচাতে পারিনি। আমার ভাই পড়ালেখার পাশাপাশি সেখানে চাকরি করতেন। গত কয়েকদিন আগে আমাকে বলেছিলেন, তুই বাড়ি কখন যাবি। তোকে সঙ্গে নিয়ে এবার বাড়ি যাবো। এখন ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু জীবিত নয় মৃত।
নিহত মোমিনুল হকের চাচা খোরশেদ আলম বলেন, আমার বড় ভাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেখান থেকেই অবসর নিয়েছেন ৷ বড় ছেলে মহসিন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স শেষ করে তিন-চার মাস আগে কম্পিউটার অপারেটার হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। সে মহসিন কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছে। কিছুই দিন পরে পরীক্ষা হবে। তার পরীক্ষা দেওয়া হলোনা।
মোমিনুল হক, বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার মাস্টার ফরিদুল আলমের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন মোমিনুল হক।