শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে ১৮ দাবিতে বিকেএমইএ অফিস ঘেরাও শ্রমিকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০০:১৯, ৮ অক্টোবর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ১৮ দাবিতে বিকেএমইএ অফিস ঘেরাও শ্রমিকদের

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১৮ দফা দাবিতে পোশাক-শিল্প কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র অফিস ঘেরাও করে অনশন ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য সংসদের ব্যানারে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিকেএমইএ কার্যালয়ে অবস্থান করে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে নগরীর শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকেএমইএ অফিসে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এ সময় দাবি না মানলে রাস্তায় নেমে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শ্রমিকরা জানান, ১০ অক্টোবরের মধ্যে নেমকন ডিজাইন, ক্রোনী-অবন্তিসহ সকল গার্মেন্টস এর বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ত্রি-পক্ষীয় ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা অনশন ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের কয়েক মাসের বেতন দিচ্ছেননা মালিকরা। বেতন চাইলে হুমকি-ধামকি দেন। এভাবে তো চলে না। আমাদের ঘরে খাদ্য নাই। আমাদের মজুরি পরিশোধ না করলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এড. মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি গার্মেন্টস থেকে শ্রমিকরা বিগত কয়েক মাস ধরে যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না। যার কারণে তারা দুঃখে-কষ্টে জীবন যাপন করছেন। বিকেএমইএ, জেলা প্রশাসক, কল-কারখানা অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। প্রত্যেকেই একের পর এক বেতন পরিশোধের তারিখ দিচ্ছেন কিন্তু পরিশোধের কোন হদিস নেই।

তিনি আরও বলেন, ১৮ দফা দাবির যে চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না বিকেএমইএ। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। আজকে বিকেএমইএ অফিস ঘেরাও করেছে, যেকোনো সময় তারা রাস্তায় নেমে যাবে। এজন্য বিকেএমইএ দায়ী থাকবে। কারণ তারা মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না এবং শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছে না।

বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে লিখিত দাবি আমাদের কাছে আসেনি। মৌখিকভাবে যেটা জানানো হয়েছে সেটার জন্য আমরা কাজ করছি এবং দশ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া হবে। এই ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকও কাজ করছে। আমরা সবাই মিলেই সমাধানের কাজ করছি।