বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

|

আশ্বিন ৩০ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জ শহরে ২১৩ মন্ডপে দুর্গাপূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:২৪, ৯ অক্টোবর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ শহরে ২১৩ মন্ডপে দুর্গাপূজা

ফাইল ছবি

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ২১৩টি ম-পে আয়োজন করা হয়েছে দুর্গাপূজা।

সরেজমিনে শহরের নিতাইগঞ্জের বলদেব জিউর আখড়া মন্দির, দেওভোগ আখড়া, পালপাড়া, উকিলপাড়া, সাহাপাড়া, আমলাপাড়া, নয়ামাটি এলাকার পূজাম-পগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎশিল্পীরা সাজসজ্জায় ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিমাগুলোকে। পুরোহিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এ বছর দেবীর আগমন দোলায় এবং গমন ঘোটকে। যার ফল হলো ছত্রভঙ্গ। আমরা মায়ের কাছে দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করব, তিনি যেন আমাদের সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন।’

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ও নিতাইগঞ্জ শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া ও শিব মন্দিরের সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আমাদের প্রস্তুতিতে কিছুটা বিজ্ঞহ্ন ঘটেছে। এ বছর প্রকৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের পূজাম-প সাজানো হয়েছে।’

নিরাপত্তা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। এখানে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই মিলেমিশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করছি। প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতারাও আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছেন।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ২১৩টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ সব দল আমাদের পাশে আছে। তারা আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দিচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদেরও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এবার কঠোর অবস্থানে। ম-পগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব ম-পেই সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আশা করছি, এ বছর আমরা আগের তুলনায় আরও ভালোভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে পারব।’

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশের টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছেন। প্রতিটি পূজাম-পে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও রয়েছে। র‌্যাব ও সেনাবাহিনীও টহল দেবে। আশা করছি, প্রতি বছরের মতো এবারও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে।’