ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাই। প্রথম যেদিন আমার অফিসে গিয়েছিলেন খোরশেদ ভাই। তিনি বলেন, আমার এখানে একটা পূজা হয়, সেখানে কেউ যায় না। আমি বললাম কেনো- সমস্যা কি? তিনি বললেন, উনারা তো গরীব ও বড় করে পূজা করার সামর্থ্য নেই। তখন আমি বলেছি, অবশ্যই যেদিন মা দূর্গা দর্শন শুরু হবে সেদিন আমি ওখানে যাবো। আমি এসপি চাইলে অনেক স্থানে যেতে পারতাম, অনেকে অনেক স্থানে যাবার আমন্ত্রণ জানায়। বড় জায়গা না যেয়ে এই গরীবদের পূজা মন্ডপে আসাতে স্বার্থকতা রয়েছে। তেলের মাথা তেল ঢেলে স্বার্থকতা নাই। ঈশ্বর সবারই ইশ্বর, তাকে ভাগ করা যায় না। যে ছোট তিনিও ঈশ্বরকে ডাকে, যে বড় তিনিও ঈশ্বরকে ডাকে। ঈশ্বরের রূপ এক অলৈাকিত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে চাষাঢ়া রবিদাস পাড়া দূর্গা পূজামন্ডপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এরপর তিনি অসহায়দের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, জীবের ভিতরে ঈশ্বর লুকিয়ে থাকে। প্রথম দূর্গা বানাতেও পতিতা ঘরের মাটি লাগে। মা দূর্গার সকলের অবদান রয়েছে। এখানে যারা আছেন, কেউ ছোট মনে করবেন না। আমি চাই, এখানে অনেকের মাঝে আমার মত প্রত্যুষ হাজারো তৈরি হোক। পড়াশুনা করতে হবে, নিজের নীতি ঠিক রাখতে হবে। ইন্ডিয়ার যিনি সংবিধান লিখেছিলেন, তিনি সমাজের নিচু লোক ছিলেন। আমরা মনে করবো, আমরা সবাই মানুষ। সকলের শরীরের রক্ত এক। আমাদের এখানে হিন্দু মুসলিম খিষ্ট্রাণ নির্বিশেষে সকলের মিলন মেলা।
এসপি আরও বলেন, এখানে খোরশেদ কমিশনারের মত লোক আছে, যিনি মানববতার প্রতিষ্ঠিত এক উদহারণ। আমার আর কোন উদহারণ দরকার পড়ে না। ওনি আমার ওখানে গিয়েছিলেন আজকে বলি, ওনার নামে ৭৮টি মামলা ছিল, তখন আমি বলেছি আপনাকে আমি ‘আইডল’ মনে করি। যে মানুষ করোনার সময় নিজের জীবন বাজী রেখেছে, সে অবশ্যই ‘আইডল’। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, স্যার আমার একটা উপকার করতে পারবেন। তখন বলেছিলাম কি করে দিতে হবে আমাকে। তিনি বলল, আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করে দিতে পারবেন, আমার ছেলেকে নিয়ে যাবো। আমি আইজিপি স্যারের সাথে কথা বলে, আমার স্পেশ্যাল পাওয়ারে তাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিয়েছি। যার নামে এতগুলো মামলা, কারো মামলা থাকলে আমরা ক্লিয়ারেন্স দেই না। বাট আমি দিসি, আমি তার জামিনদার হইছি। আমরা সবাই যদি সবার মত চিন্তা করি তাহলে হবে না। চিন্তাটা থাকবে অনেক বড়। একজন খোরশেদ কমিশনার সমাজে জন্ম হতে অনেকদিন লাগে। আমি তাকে মন থেকে শ্রদ্ধা করি।