ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের নানাভাবে নদী দখলের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়ছে শীতলক্ষ্যা নদী। এরই মধ্যে নদীর দুই পাশে বড় বড় জাহাজ নোঙর করে রাখায় নৌযান চলাচলের পথ আরও সরু হয়ে পড়ছে।
এই নদী পথে প্রতিদিনই ছোট-বড় হাজারো জাহাজ, লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল করে। নৌপথ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের পাঁচ নং ঘাট, বরফকলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক জাহাজ নোঙর করে রাখতে দেখা যায়।
বেশিরভাগ সময়েই নোঙর করা জাহাজের জট মাঝ নদী পর্যন্ত চলে যায়। এছাড়াও নদীতে অবৈধ বাল্কহেডসহ নানা ধরনের ট্রলার ও নৌযান বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। এমন অবস্থায় শীতলক্ষ্যায় নৌপথে চলাচল করা বিপদজনক হয়ে উঠছে।
জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর প্রবেশপথ মদনগঞ্জ ও চর মোক্তারপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় বড় সিমেন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। এছাড়াও পাঁচ নং ঘাট এলাকা, নিতাইগঞ্জসহ ও আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন খাদ্য শস্যের আড়ৎ ও গুদাম রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানের মালামাল নদী পথেই আসে। মালামাল লোড-আনলোড করার জন্য দিনের পর দিন শীতলক্ষ্যা নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নোঙর করা থাকে এই জাহাজগুলো। এর ফলে নৌপথ অনেকটাই সরু হয়ে পড়েছে।
এদিকে নৌপথে শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঝে মধ্যে অভিযানও পরিচালনা করা হলেও নৌযান চালকরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাসের পর মাস নোঙর করে রাখছে নদীর মাঝখানে।
জানা যায়, নদীতে জাহাজের এমন জটলার মধ্যে দিনের বেলায় ধীরগতিতে ঝুঁকি নিয়ে জাহাজ চালাতে পারলেও রাতে স্বাভাবিকভাবে এ স্থান অতিক্রম করতে পারে না নাবিকরা। এলোপাতাড়ি জাহাজ রাখায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে এখানে। সাধারণ নাবিক ও জাহাজ চালকরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।