স্থানীয় সরকার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
স্থানীয় সরকার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, এই ডিজিটাল সার্ভের উপকারিতা কী। নিশ্চয়ই এর পেছনে অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষের উপকারিতা কী। আগে গ্রামে জমি মাপতে আমিন সাহেব আসলে সবাই দুশ্চিন্তায় থাকত। জমির আইল ঠিক থাকবে কীনা, আমার জমি আমার নামে থাকবে কীনা বা যার সাথে শত্রুতা তার নামে চলে যাবে কীনা আমরা জানি না।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এসকল ঘটনায় অনেক মামলা হত। সমাজের একটা বড় অংশ ভূমি জরিপের অস্বচ্ছতার কারনে ভেগান্তিতে পড়ত। এটা থেকে চিরতরে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রযুক্তির সাহায্যে সার্ভে হচ্ছে। এর আওতায় ঘরবাড়ি, গাছপালা সব থাকবে এবং এটা সংরক্ষিত থাকবে। ফলে জরিপ নিয়ে যেসকল অস্বচ্ছতা, সেগুলো আর থাকবে না।
তিনি বলেন, এখন আমরা অনলাইনে বাসায় বসে খতিয়ান পেয়ে যাবো। জমির খাজনাও আমাদের একশ টাকা হলে একশ টাকাই দিতে হবে। এটা নিয়ে অস্বচ্ছতা থাকবে না। যে অভিযোগগুলো আমরা এখন পাচ্ছি এগুলো তখন আর হবে না। এই মূল জরিপের বেনিফিট আমরা পাবো। মামলা কমে যাবে। জমির কারণে যে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে, ঝগড়া বিবাদ হচ্ছে এগুলে আর হবে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ও ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।