বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আসছে শীত, না.গঞ্জে মোড়ে মোড়ে বসছে অস্থায়ী পিঠার দোকান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:০৩, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

আসছে শীত, না.গঞ্জে মোড়ে মোড়ে বসছে অস্থায়ী পিঠার দোকান

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে শীত আসার আগেই শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তার মোড়ে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের শীতের পিঠা। স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি সড়কের পাশে মাটির চুলা নিয়ে অস্থায়ী ভাবেও পিঠা বিক্রি করছেন অনেকে। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) শহরের চাষাঢ়া, বালুরমাঠ, খানপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসকল স্থায়ী ও অস্থায়ী পিঠার দোকান দেখা যায়। 

পিঠা বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকানের তুলায় অস্থায়ী দোকানের সংখ্যাই বেশি। কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান শীতকালেই মূলত পিঠার বেচাকেনা ভাল হয়। বছরের অন্য সময়গুলোতে পিঠা তেমন একটা বিক্রি হয়না বলেই শুধু শীতের মৌসুমেই তিন মাসের জন্য মৌসুমি ব্যাবসা হিসেবে এটাকে বেছে নিয়েছেন তারা। বছরের অন্যান্য সময়গুলোতে তারা অন্যান্য কাজ করেন।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় কেউ ভ্যানগাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে আবার কেউ নির্দিষ্ট জায়গায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করছেন। সুবিধামতো চুলা বসিয়ে পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, চাপড়ি, পাকন, মুঠি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, ছিট রুটিসহ নানা ধরনের পিঠা বানানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চিতই আর ভাপা পিঠা। চিতই পিঠার সঙ্গে দেওয়া হয় শুঁটকি, ধনেপাতা, সরিষা, বাদাম, কালোজিরা, মরিচসহ নানা ধরনের ভর্তা। আর ভাপা পিঠা তৈরি করা হয় গুড়, নারিকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে।

এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে ক্রেতা। রাত ১১ পর্যন্ত চলে এই বেচা-কেনা। প্রতি পিস চিতই পিঠা ১০ টাকা, ভাপা পিঠা ১৫ টাকা করে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এতে একেকজন পিঠা বিক্রেতার দিনে আয় দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রায় তিন থেকে চার মাস তাদের জীবিকা নির্বাহ হবে এই পিঠা বিক্রি করে।

শহরের রাসেল পার্ক এলাকার পিঠা বিক্রেতা সেলিম জানান, শীত এখনও তেমন পড়েনি। তারপরও পিঠা ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত বেশি পড়লে পিঠা বিক্রিও বেশি হবে।