
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরকারিভাবে গভীর নলকূপ বসানোর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের টেন্ডারে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকেই সকল কাজ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) এ টেন্ডারের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়। এতে নারায়ণগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ খান তার পছন্দের কামাল এন্টারপ্রাইজকে সকল কাজ দিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, জেলাজুড়ে বিশুদ্ধ পানির জন্য ৮টি গ্রুপে বিভক্ত করে ৪৯২ টি গভীর নলকূপ বসানোর জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। এর মধ্যে প্রতিটিতেই সাবমারসিবল পাম্পের ব্যবস্থাসহ বসানো হবে। এজন্য ১৭ থেকে ১৯ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পেতে আবেদন করলেও কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই একটি প্রতিষ্ঠানকে বুধবার ৪৯২ টি নলকূপ বসানোর ঠিকাদারী দিয়ে দেয়া হয়। এতে করে বাকি ঠিকাদাররা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঠিকাদাররা এবং টেন্ডার সংশ্লিষ্টটা জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী তার নিজস্ব ইচ্ছায় এ টেন্ডার দিয়ে দিয়েছেন। তার পছন্দের ব্যক্তিকে সকল কাজ দেয়া হয়েছে। এখানে বড় ধরনের লেনদেনের বিষয়ও থাকতে পারে। এতগুলো কাজ একটি প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিলে কাজ আরো ভালো হতো এবং স্বচ্ছতা থাকতো বলে মনে করেন তারা।
এদিকে একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিয়ম নেই তো কি হয়েছে। অনিয়ম করলে সব সম্ভব। এখানে বড় ধরনের লেনদেন হয়েছে ফলেও সবাইকে পাশ কাটিয়ে তাকে ঠিকাদারী দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কামাল এন্টারপ্রাইজের মালিক কামাল দুজনের বাড়িই ভোলা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ খান জানান, সবগুলো টেন্ডার একজন বা একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান পেয়েছে এমন অভিযোগ সঠিন নয়। তবে বেশিরভাগ তিনি পেয়েছেন এবং এগুলো সকল নিয়মাবলি মেনেই তিনি পেয়েছেন। আমাদের উর্ধতন অফিসেও এমন অভিযোগ এসেছিল। তখন তারা বিষয়গুলো ক্রসচেক করেই কাজগুলো দিয়েছে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। তবে একজন অনেক কাজ পেয়ে যাওয়ায় অনেকে মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। তারা এধরণের অভিযোগ করতে পারে।