
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সহযোগিতার কথা বলে অর্থ দাবি করা হয়। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অর্থ দাবি করা হয়নি এবং উত্তোলনকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে জেলা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছে অর্থ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জের ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. মজিবর রহমান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মোবাইলে কথোপকথনের একাধিক অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ওই কথোপকথনের সূত্রে জানা গেছে, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষের কাছে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে জেলা প্রশাসনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে বলে জানায়। এতে মনিরুজ্জামান বলেন, ডা. মজিবরসহ তারা কয়েকজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইনের কাছে গিয়েছিলেন। তখন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন মহান স্বাধীনতা দিবস জাঁকজমকভাবে উদযাপনে আর্থিক সহযোগিতার জন্য মালিক সমিতির কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ ধরনের কথা শুনে ক্লিনিক মালিকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। তখন মনিরুজ্জামান তাদের বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে যখন অর্থ হস্তান্তর করব তখন আপনারা সঙ্গে থাইকেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতার কথা বলে শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছে। মহানগর বিএনপি নেতা ও নারায়ণগঞ্জের ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. মজিবর ও কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অর্থ আদায় করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় উত্তোলনকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। তবে সেই অর্থ ফেরত না দিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক ও মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ডা. মজিবরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে আলমগীর হুসাইন জানান, তারা কারও কাছে কোনো অর্থ দাবি করেননি। যারা জেলা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে অর্থ উত্তোলন করেছে তাদের সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।