সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ১১ বছর আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ১১ বছর আজ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ১১ বছর আজ। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হলেও আপীল বিভাগে মামলাটি ঝুলে থাকায় এখনও কার্যকর হয়নি রায়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন নিহতের স্বজনরা। অবিলম্বে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রায় কার্যকরের দাবী তাদের।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে।

সেদিন নারায়ণগঞ্জের আদালতে মামলার হাজিরা শেষে প্রাইভেটকারে ফিরছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম। একইসময়ে আদালতের কার্যক্রম শেষে অপর একটি প্রাইভেটকারে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে সাদা পোশাক পরিহিত র‌্যাব সদস্যরা তাদের ৭ জনকেই অপহরণ করেন। অপহরণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ। দফায় দফায় চলতে থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ।

ঘটনার তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এলাকা থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।

এদিকে ৩৩ মাস পর জেলা জজ আদালত এবং ১৯ মাসে হাইকোর্টে রায় হয়। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায়ে প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে মামলাটি আপিল বিভাগে যায়। সাড়ে ৭ বছর ধরে আপীল বিভাগেই মামলাটি স্থবির হয়ে আছে। এর ফলে আসামিদের রায় কার্যকর করা যাচ্ছে না। এর ফলে নিহতদের পরিবারে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।