
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের নানা কার্যক্রমের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় দুদকের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের দুই উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম এলজিডির বন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. শামসুন নাহারের ব্যক্তিগত কক্ষে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা কথা বলেন দুদকের এই দুই কর্মকর্তা।
এসময় হিসাব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের বিগত কয়েক বছরের রেজিস্ট্রার খাতা ও নথিপত্র যাচাই বাছাই করেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা।
পরে দুদকের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে একসঙ্গে ৩৬ জেলায় এলজিইডি কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে’।
দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট টিম বন্দর উপজেলায় এলজিডির বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে এবং কয়েকটি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এলজিইডি'র বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের বিগত এবং চলতি অর্থ বছরের রেকর্ড অনুযায়ী সমাপ্ত, অসমাপ্ত ও চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে কোন ধরনের অনিয়ম আছে কিনা সে বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করছি এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টি স্বীকার করে এলজিডির বন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. শামসুন নাহার বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তারা বিগত পাঁচ বছরের রেকর্ড ও নথিপত্র যাচাই বাছাই করেছেন। আমাদের রুটিন ওয়ার্ক যে কাজগুলো চলছে, অতীতে যে কাজগুলো হয়েছে এবং যে কাজগুলো অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে দুদকের কর্মকর্তারা খোঁজ খবর নিয়েছেন’।