শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

পড়তে বসলেই ঘুম পায়?

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

পড়তে বসলেই ঘুম পায়?

প্রতীকী ছবি

ছাত্রজীবনে পড়তে বসে ঘুম আসেনি এমন ব্যক্তি খুজে পাওয়া কঠিন। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ায় পরীক্ষা খারাপের রেকর্ডও আছে অনেকের।

কোনো ছাত্রই চায় না এমন পরিস্থিতিতে পড়তে। আবার অনেকে পরীক্ষার আগে সারারাত জেগে পড়াশোনা করে। পরীক্ষার আগের রাতে জেগে থাকতে নিজেকে কখনো জোর করা উচিৎ নয়। কারণ গভীর ঘুম বা আরইএম ঘুম আপনাকে পড়া মনে রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার পড়াগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিতে পরিণত করে। যদি আপনি একদমই জেগে থাকতে না পারেন এবং কিভাবে পড়ার সময় ঘুম আসা বন্ধ করবেন ভাবছেন, তাহলে এই কৌশলগুলো আপনার জন্য।  

খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার

পড়াশোনার সময় নিজেকে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে, পুষ্টি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি সালাদ, মসুর ডাল এবং প্রচুর ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ একটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা তৈরি করুন। সাধারণত যে খাবারে মেদ বেশি থাকে তা আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং অলস করে ফেলে। তবে চর্বিযুক্ত প্রোটিনগুলো শক্তির জন্য দুর্দান্ত। পাশাপাশি বাদাম এবং বীজের তৈরি একটি এনার্জি বার খেতে পারেন।

প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম

পড়াশোনার সময় ঘুম আসার প্রধান কারণ রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতি রাতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত ঘুমাবেন না বা কমও ঘুমাবেন না এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এর ফলে প্রতিরাতে একই সময়ে ঘুম আসবে আপনার।

পাওয়ার ন্যাপ

পড়তে পড়তে যখনই আপনার খুব ঘুম লাগবে তখনই বিরতি দিন এবং ২০-৩০ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। পরীক্ষার সময় রাতে যদি প্রয়োজনীয় পরিমাণে ঘুম না হয় তবে আপনাকে দিনের মাঝামাঝি সময়ে একটু ঘুমিয়ে নিতে হবে। এই ঘুম আপনাকে জেগে ওঠার পরে পড়ায় মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে।

পানি পান

পড়াশোনার সময় আপনি ঘুমিয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হলো আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করছেন না। তবে একটি গবেষণার হিসেবে, ডিহাইড্রেশন আক্ষরিকভাবে আপনার মস্তিষ্ককে সঙ্কুচিত করতে পারে! পড়ার সময় পর্যাপ্ত পানি না পান করলে আপনি মনোযোগ হারাতে পারেন। এটি মোকাবিলা করতে, আপনার পড়ার টেবিলে সবসময় ঠাণ্ডা পানির একটি বোতল রাখুন এবং সারা দিন একটু একটু করে চুমুক দিন। আপনার প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা উচিৎ। আপনি একটি ২ লিটারের বোতলে পানি ভরে রাখতে পারেন এবং ঘুমানোর আগে সেটি শেষ করে ঘুমাতে পারেন।

হাঁটাহাঁটি

পাওয়ার ন্যাপ নেওয়া ছাড়াও পড়াশোনার সময় আপনি যদি ঘুম অনুভব করেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। বা আপনার প্রিয় গান ছেড়ে নাচতে পারেন। বাইরে থেকে ১০ মিনিটের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। এমনকি আপনার ঘরে হেঁটে হেঁটে বইটি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।

দীর্ঘক্ষণ পড়া যাবে না

অনেকেই একটানা ৫-৬ ঘণ্টা পড়ার কথা বলে তবে মনোযোগ না হারিয়ে এটি করা প্রায় অসম্ভব। একটানা সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার বেশি পড়া উচিৎ নয়। প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর বা ২৫ মিনিট পড়ার পরে পাঁচ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। এই পাঁচ মিনিটে আপনি শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পরেন। বা প্রতি ২ ঘণ্টা পরে আপনি প্রায় ২০ মিনিটের দীর্ঘ বিরতিও নিতে পারেন।

জোরে পড়ুন ও বেশি লিখুন

জোরে জোরে পড়া আপনাকে মনে মনে পড়ার চেয়ে আরওবেশি ব্যস্ত রাখতে পারে যা আপনাকে পড়াশোনার সময় না ঘুমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া একটি রাফ খাতা আপনার পাশে রাখুন এতে আপনি যা পড়ছেন তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লিখে রাখতে পারেন। আপনার নোটগুলো মুখস্থ করার জন্য এটিই সেরা উপায় নয়, এটি আপনার শরীরকে ব্যস্ত রাখবে এবং আপনাকে জাগিয়ে রাখবে।

বারবার মুখ ধোওয়া

জেগে থাকার সর্বাধিক ব্যবহারিক একটি উপায় হলো যখনই ঘুম পাচ্ছে তখনই মুখ ধুয়ে নেওয়া। এটি অন্যতম পরীক্ষিত পদ্ধতি এবং এটি সম্ভবত অভিভাবকরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যখনই আপনার চোখ ভারী লাগবে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আপনি দাঁত ব্রাশও করতে পারেন।