শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বিট লবণকে ‘না’ বলুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ১০ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১১:২০, ১১ জানুয়ারি ২০২৪

বিট লবণকে  ‘না’ বলুন

প্রতীকী ছবি

চাটনি, সালাদ, ফল, জুস, বোরহানি, ফুচকা, রাইতা প্রায় সবারই প্রিয় খাবার। কিন্তু আপনি কি জানেন, এ খাবারগুলোর সঙ্গে আপনার দেহে যাচ্ছে ভয়াবহ টক্সিক উপাদান? হ্যাঁ, এসব খাবারে দেওয়া বিট লবণই এই ক্ষতিকর উপাদানটি বহন করছে।

বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালিতে বিট লবণ খুব পরিচিত নাম। এটি কালো লবণ বা সুলেমানি লবণ নামেও পরিচিত। চাটনি, সালাদ, ফল, জুস, বোরহানি, ফুচকাসহ প্রায় সব ধরনের ভারতীয় ও চাইনিজ খাবারে বিট লবণের যোগ করা হয়।

খাবারকে চটজলদি সুস্বাদু করলেও বিট লবণের রয়েছে নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব, যা অনেকেরই অজানা।  

বিট লবণের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, ফেরাস সালফেট ও ফ্লুরাইড ইত্যাদি।

অনেকের ধারণা, সাধারণ লবণের চেয়ে বিট লবণে সোডিয়াম কম থাকে বলে তা হয়তো উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও শরীরের পক্ষে ততটা ক্ষতিকর নয়।

দিল্লির ফ্লুরোসিস গবেষণা ও পল্লি উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খাওয়ায় ভারতে ফ্লুরাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৬৬ মিলিয়নেরও বেশি।

এই গবেষণার পর প্রতিষ্ঠানটি বিট লবণ ও বিট লবণ দিয়ে তৈরি স্ন্যাকস বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২ দশমিক ৩ গ্রামের কম ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের ১ দশমিক ৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে লবণে যদি ফ্লুরাইড থাকে তাহলে তা হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা সৃষ্টি করে, রক্তস্বল্পতা, রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও পাকস্থলির ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে।

ফ্লুরাইড ও বিট লবণ

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিট লবণে প্রায় প্রতি মিলিয়নে রয়েছে আড়াইশ শতাংশ পরিমাণ ফ্লুরাইড। এটি পটাশিয়াম বা সোডিয়াম যেকোনো ফ্লুরাইড হতে পারে। যা প্রচুর টক্সিন সমৃদ্ধ।

৪ দশমিক ৯ গ্রাম অর্থাৎ, প্রতি চা চামচ বিট লবণে রয়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ গ্রাম ফ্ল‍ুরাইড। ফ্লুরাইড থাইরয়েড গ্রন্থি, হাড়, জয়েন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এটি এমন একটি উপাদান যা সিসা, পারদ ও রেডন গ্যাসের মতোই বিষাক্ত।

ফ্লুরাইড কি

দাঁত ও হাড়ের গঠনে ফ্লুরাইড প্রয়োজনীয় উপাদান। মানবদেহে ফ্লুরাইডের সহনীয় মাত্রা ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম। কিন্তু তা যদি ৪ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় তাহলে তা বিষে পরিণত হয়। খাবার পানিতেও ফ্লুরাইড  রয়েছে। এক লিটার পানিতে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক শূন্য মিলিগ্রাম ফ্লুরাইড থাকে। এর বেশি মাত্রায় থাকলে তা দূষণ পর্যায়ে চলে যায়।

শরীরে ফ্লুরাইডের অতিরিক্ত মাত্রা ফ্লুরোসিস নামের রোগ তৈরি করে। ফলে ওজন কমায়, ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, দাঁতের ক্ষতি হয় ও চুল পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এখন থেকে বিট লবণকে ‘না’ বলুন। সুস্থ থাকুন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট