বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কুমারীত্ব না হারিয়েই যৌনতা উপভোগ !

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কুমারীত্ব না হারিয়েই যৌনতা উপভোগ !

প্রতীকী ছবি

আমাদের দেশে বিয়ের আগে কুমারীত্ব হারানো বিরাট এক ব্যাপার। সাম্প্রতিক সময়ে সেই সংস্কার থেকে অনেক নারী-পুরুষই বেরিয়ে আসলেও তবুও যেন কিছু একটা অপরাধ বোধ কাজ করতে থাকে। বিয়ের আগে যৌনতা যেন বিরাট এক পাপ কাজ। যদি দেখা এক দিয়ে এই দ্বিধাটুকু থাকা ভালো। ইদানীংকালে বেশিরভাগ সম্পর্ক এত কম দিন টেঁকে যে ভরসা করে কারো সঙ্গে চুড়ান্ত শারীরিক সম্পর্কে যেতে ভয় পান মেয়েরা। এমনকী, আনুষ্ঠানিকভাবে এনগেজড হলেও মেয়েরা পুরোপুরি সঙ্গম করতে চান না। অথচ সম্পর্ক ঘন হলে শারীরিক চাহিদা তীব্র হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমন বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে মেয়েরা যৌনতৃপ্তি পেতে পারেন কুমারীত্ব না হারিয়ে। শরীরের মজা পাওয়া যেতে পারে।

প্রথমেই জানতে হবে কুমারীত্ব কী? ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ভার্জিনিটি’, তা আসলে একটি পাতলা মেমব্রেন বা ‘হাইমেন’ যা যোনিমুখে থাকে। পুরুষাঙ্গ যখন যোনিতে প্রবেশ করে তখন সেই মেমব্রেনটি ফেটে যায়। সংজ্ঞামতো একেই বলে কৌমার্য হারানো। কিন্তু পুরুষাঙ্গ ছাড়াও যদি আঙুল অথবা অন্য কিছু যোনিতে প্রবেশ করানো হয় তবে তার ফলেও মেমব্রেনটি ফেটে যেতে পারে। সাইক্লিং এবং সুইমিং করলেও হাইমেন ফেটে যায় অনেক সময়। কিন্তু শারীরবিজ্ঞান অনুযায়ী যোনিতে পুরুষাঙ্গের প্রবেশ না ঘটলে কুমারীত্ব হারিয়েছে বলা যায় না। তাই শারীরিক ঘনিষ্ঠতা মানেই আর কুমারী নন— একথা কিন্তু বলতে পারেন না কেউ।

নীচে রইল ৫টি উপায় যার মাধ্যমে কুমারীত্ব না হারিয়েই উপভোগ করা যায় যৌনতা—

১) ওরাল সেক্স হল সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতি। পরস্পরের যৌনাঙ্গ জিভ দিয়ে লেহনে অর্গাজম বা তৃপ্তি হয় চূড়ান্ত অথচ কৌমার্য অক্ষুণ্ণ থাকে। বহু পুরুষই প্রথাগত ইন্টারকোর্সের পরিবর্তে ওরাল সেক্স বা ‘ব্লো-জব’-ই পছন্দ করেন বেশি।

২) অর্গাজমে যৌনাঙ্গের ভূমিকার চেয়ে মস্তিষ্কের অবদানই বেশি। যৌনাঙ্গ হাজার রকম করে স্পর্শ করলেও অর্গাজম আসবে না, যদি মাথা-র তাতে সায় না থাকে। তাই ফোন-সেক্স বা ‘ডার্টি-টক’-এর মাধ্যমে অর্গাজম আসতে পারে সহজেই, যেখানে শরীরের সেভাবে কোনও ভূমিকাই থাকে না।

৩) স্কাইপি সেক্স হল আর একটি উপায়, যার মাধ্যমেও চরম যৌন সুখানুভূতি পাওয়া সম্ভব। তবে এ বিষয়ে মেয়েদের খুব সাবধানী হতে হবে। নিজের চেয়েও বেশি বিশ্বাস যদি কাউকে করতে পারেন তবেই এই উপায়ে যাবেন, না হলে বিপদ কী হতে পারে ভাবতেই পারছেন। স্কাইপি কলও কিন্তু রেকর্ড করা যায়। তা না হলেও মোবাইল বা অন্য ক্যামেরাতেও স্কাইপি চ্যাটের ভিডিও তুলে রাখা যায়।

৪) দু’জন দুজনের শরীর স্পর্শ করে অনুভব করুন, আদর করুন। ভালবাসা তীব্র হলে শুধুমাত্র এইটুকুর মাধ্যমেই তৃপ্তি আসবে। ছেলেদেরও স্মুচিং, কেয়ারেসিং থেকেই ইজাকুলেশন হয়। দু’জনেরই তৃপ্তি এল অথচ কৌমার্যে হাত পড়ল না।

৫) দু’জন দু’জনকে স্পর্শ করে একে অপরকে হস্তমৈথুন করুন। তবে পুরুষসঙ্গীকে যোনির ভিতরে আঙুল প্রবেশ করাতে দেবেন কি না, তা ভেবে দেখবেন।