ফাইল ছবি
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুর ইসলাম বলেছেন, ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখলে মালিকেরও লস শ্রমিকেরও লস। আমাদের কারখানা চালু রেখে যৌক্তিক দাবীগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের দিকে এগুতে হবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বিকেএমইএ'র ভবনে বিকেএমইএ কর্মকর্তাদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এ সরকার প্রধান গ্রহণযোগ্য। তিনি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিকে প্রোমোট করতে পারবেন। আমরা যখন তার সাথে দেখা করতে গিয়েছি, তিনি বলেছেন তোমারা কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাও। আমি বাংলাদেশের গার্মেন্টসের এম্বাসেডর হিসেবে সারা বিশ্বে কাজ করবো।
আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুযোগ এসেছে। ইউরোপ ও আমেরিকাসহ অনেক বড় বড় ব্র্যান্ডের সাথে ড. ইউনুসের সুসম্পর্ক রয়েছে। অনেক শর্ট ডেলিভারি আমরা এবার মিস করেছি। অনেক বায়ার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় তাদের অর্ডার সরিয়ে নিয়েছে। আরও দু তিনটি বড় ফ্যাক্টরি ইতোমধ্যে অনেকদিন ধরে বন্ধ। সেই ফ্যাক্টরিগুলোর শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার।
অনেক মালিক দেখছে লাভ করছে এবং ব্যায় বাড়ছে। এমন অবস্থায় যখন ব্যায় আয়ের চেয়ে বেশি হয়ে যায় তখন আর ফ্যাক্টরি চালানো সম্ভব হয় না। এই সংকটের সময় আমরা যদি একসাথে কাজ না করি ও বায়ারদের একটি মেসেজ দিতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছে। আমরা মনে করি একটি ফ্যাক্টরিকে শ্রম আইন অনুযায়ী চলতে হবে। আমরা উভয় পক্ষ যেন শ্রম আইন অনুযায়ী চলি সেটাই আমাদের কামনা।
এসময় বিকেএমইএ'র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তরিকুল আলম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সেনাবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ জেলার কমান্ডিং অফিসার লে.কর্ণেল আতিক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিকেএমইএ'র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বিজিএমইএ'র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।