রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৭ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী, দেশের অর্থনীতিতে এর ভূমিকা অসামান্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:০২, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী, দেশের অর্থনীতিতে এর ভূমিকা অসামান্য

ফাইল ছবি

দেশের তৈরী পোশাক শিল্প কারখানার ও রপ্তানির অন্যতম অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ। ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরী সহ এখানকার দেড় হাজার কারখানার কর্মরত আছেন প্রায় ১০ লক্ষাধিক শ্রমিক। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা গুলোর ভূমিকা অসামান্য।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প করপোরেশনের ৭৯টি শিল্প নগরীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। অথচ, অবকাঠামোগত সংকট, উৎপাদনরত শিল্প প্লটের ভূমিস্বল্পতা, নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় ঝুঁকির কারণে শিল্পনগরীটি পিছিয়ে পড়ছে।

মূলত ১৯৬০ সালে বিসিকের কার্যক্রম শুরু হয় দেশব্যাপী। প্রথম কার্যক্রম শুরু হওয়া বিসিকের মধ্যে রয়েছে বরিশাল শিল্পনগরী। এরপর ১৯৬১ সালে রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, পিরোজপুর (স্বরূপকাঠি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬২ সালে চালু হয় যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, ফেনী বিসিক শিল্পনগরী। ১৯৬৩ সালে কুষ্টিয়া, ১৯৬৪ সালে রাজবাড়ী, বগুড়া ও টঙ্গী, ১৯৬৭ সালে রংপুর এবং ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ বিসিকের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম দিককার টঙ্গী ছাড়া বাকি বিসিক শিল্পনগরীগুলো প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হোসিয়ারি বিসিক।

৫৮ দশমিক ৫২ একর জমির এ শিল্পনগরীতে শিল্প প্লটের সংখ্যা ৭৪১। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৪০টি। বরাদ্দকৃত প্লটে ৪২৯টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৪২০টি উৎপাদনরত, তিনটি বাস্তবায়নাধীন ও ছয়টি শিল্প ইউনিট রুগ্‌ণ অবস্থায় রয়েছে। এ শিল্পনগরীতে সর্বোচ্চ ২ লাখ ২৯ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ১ লাখ ১৩ হাজার পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি কাজ করেন ১ লাখ ১৬ হাজার নারী শ্রমিক।

বিসিকের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ৭৯টি বিসিক শিল্পনগরীতে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭০৬ জনের। অর্থাৎ ৮০টি বিসিক শিল্পনগরীর মধ্যে কর্মসংস্থানের ৩৫ শতাংশ সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রামের কালুরঘাট শিল্পনগরীতে কর্মসংস্থান ৯৫ হাজার এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫৪ হাজার।