রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৭ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

লাঙ্গলবন্দকে পর্যটন কেন্দ্র না পূর্নাঙ্গ তীর্থস্থান চায় হিন্দু সম্প্রদায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২২ মার্চ ২০২৪

লাঙ্গলবন্দকে পর্যটন কেন্দ্র না পূর্নাঙ্গ তীর্থস্থান চায় হিন্দু সম্প্রদায়

ফাইল ছবি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পৃথিবী খ্যাত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দকে কোন পর্যটন কেন্দ্র নয় বরং একটি পূর্নাঙ্গ তীর্থস্থান হিসেবে রূপান্তরের দাবী তুলেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা। সেই সাথে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিএমবি কতৃক ভূল অধিগ্রহনের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের নামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ধ্বংসের পায়তারার তীন্দ্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

আগামী ১৫ ও ১৬ই এপ্রিল আসন্ন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী ¯œান-২০২৪ সুষ্ঠুভাবে ও সুন্দরভাবে উৎযাপন করার লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা থেকে এমন দাবী উপস্থাপন করা হয়েছে। 

শুক্রবার ২২ মার্চ নগরীর চাষাড়ায় অবস্থিত শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে জাতীয় লাঙ্গলবন্দ ¯œান উৎসব উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে উক্ত মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মত বিনিময় সভায় সাধারণ সম্পাদক সুজিত সাহার পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন। 

সাধারণ সম্পাদকের ওই লিখিত বক্তব্যে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দকে অনেক গুরুতর সমস্যা এবং করনীয় সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। যেখানে লাঙ্গলবন্দ ¯œান এলাকায় সারাবছর ব্যাপী কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাজেটের ব্যবস্থা রাখা, লাঙ্গলবন্দের সম্পদ রক্ষা দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ, সড়ক ও জনপদের সিএমবি কর্তৃক ভূল ভূমি অধিগ্রহন রুখে দিতে আইনী পদক্ষেপ, লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নে সরকারের বরাদ্দকৃত শতকোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে লুটপাট, লাঙ্গলবন্দ টু মুনিঋষিপাড়া ভাড়া মিনারবাড়ি নবীগঞ্জ- কাইকারটেক পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরনের নামে ১২টি মন্দির ধ্বংসের পায়তারা, লাঙ্গলবন্দের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূয়া নামজারির মাধ্যমে দখল সহ নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

মত বিনিময় সভায় বক্তারা দাবী তুলেন, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দকে আমরা কোন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নয় এটিকে সম্পূর্ন রূপে একটি তীর্থস্থান হিসেবেই আমরা দেখতে চাই। এটি শুধু নারায়ণগঞ্জের বিষয় না। এটি সারা বিশ্বে খ্যাতি রয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ যেভাবে জমি অধিগ্রহন করছেন এ বিষয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা করেননি। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দরা ভীষন ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। লাঙ্গলবন্দের সঠিক তদারকির জন্য আমরা সারাদেশ থেকে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবো। প্রয়োজনে এখানে আমরা ভারত ও নেপালের হাই কমিশনারকে আনবো। আমাদের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাবো। লাঙ্গলবন্দে শুধু একদিনের উৎসব হয়না। এখানে বছর জুড়ে সারাদেশ থেকে, দেশের বাইরে থেকেও পুন্যার্থীরা আসে বছর জুড়ে। কিন্তু এখানে কোন সুব্যবস্থা না থাকায় আমাদেরকে লজ্জিত হতে হয়। সরকার শতকোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরেও কোন একটি অপশক্তির কারনে এখানে কোন উন্নয়ন হচ্ছেনা।  কেন কি কারনে হচ্ছেনা সেই বিষয় গুলো অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজন লাঙ্গলবন্দ মহাতীর্থ স্থান রক্ষায় আমরা সারা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লাঙ্গলবন্দ ¯œান উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি বাসুদেব চক্রবর্তী, হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সহ সভাপতি তিলত্তমা দাস, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ সভাপতি দুলাল দাস, জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সাহা,  দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, সহ- জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ।