রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

থার্ড টার্মিনাল চালুর আগে না.গঞ্জ থেকে পাইপ লাইন চালু হবে না

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩২, ৬ জুলাই ২০২৪

থার্ড টার্মিনাল চালুর আগে না.গঞ্জ থেকে পাইপ লাইন চালু হবে না

থার্ড টার্মিনাল

হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বাড়বে বিমানের জ্বালানি জেট ফুয়েলের (জেট এ-১) চাহিদা। 

এ কারণে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো থেকে সড়ক পথ এড়িয়ে সরাসরি জেট ফুয়েল শাহজালালে পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরগামী একটি পাইপ লাইন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি শ্লথ হওয়ায় পাইপ লাইনের নির্মাণকাজ থমকে আছে। বিপিসি নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। এটি নির্মিত হলে গোদনাইল ডিপো থেকে দ্রুত এবং কম খরচে নিরাপদে জেট ফুয়েল সরবরাহ হবে ঢাকার অ্যাভিয়েশন ডিপোতে।  

এদিকে থার্ড টার্মিনাল চালুর আগে না.গঞ্জ থেকে পাইপ লাইন চালু হবে না বলে জানা গেছে।

জেট ফুয়েল পরিবহনে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জের কাঞ্চন সেতু থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কুর্মিটোলা অ্যাভিয়েশন ডিপো পর্যন্ত ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

বিপিসির অর্থায়নে পাইপ লাইন স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পরিবহনে ব্যয় হ্রাস, অপচয় ও সিস্টেম লস কমিয়ে আনতেই পাইপ লাইন স্থাপন পরিকল্পনা করা হয় বলে বিপিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় পাম্পিং সুবিধাসহ ৮ ইঞ্চি ব্যাসবিশিষ্ট ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জেট এ-১ পাইপ লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প কাজ দেওয়া হয় ‘নৌ-কল্যাণ ফাউন্ডেশন ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে।

এ বিষয়ে বিপিসির পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেন, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইপ লাইনটি নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়েছিল। তারা কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ বিষয়ে কাজ চলছে। নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হলে পাইপ লাইন নির্মাণকাজ আবার শুরু হবে।
 
থার্ড টার্মিনাল চালুর আগে পাইপ লাইন চালু হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি চালু হলে ঢাকার অ্যাভিয়েশন ডিপোতে বাড়তি জেট ফুয়েল দ্রুত সরবরাহ করা যেত। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় সেটি সময়মতো আর নির্মাণ করা যায়নি। নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাইপ লাইন স্থাপন কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশা করছি।

এদিকে বিপিসির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তেল কোম্পানি পদ্মার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ধারণক্ষমতা বাড়াতে। ৯ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক লরিগুলো ১৮ হাজার লিটারে উন্নীত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনার পরও ধারণক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়নি।

এ ব্যাপারে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ সাজ্জাদুল করিম বলেন, আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী ধারণক্ষমতা বাড়াতে চাই। কিন্তু পিতলগঞ্জ থেকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত জেট ফুয়েল পরিবহনে পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। পাইপে পরিবহন হলে ট্যাঙ্ক লরিগুলো অকেজো হয়ে যাবে। কোনো কাজে আসবে না এসব ট্যাঙ্ক লরি। তাই এখনই কেউ ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করেনি। তবে নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা কাজ করব।