ফাইল ছবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আরও চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই চারজনের মরদেহ রয়েছে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে।
হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। দুজনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া যায়। তাঁদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং আরেকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যান। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে। এ ছাড়া ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক পথচারী, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সব মিলিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল ১০ জনের।
রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের সংঘর্ষ শুরু আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রথম আলোর গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছেন। সেখানে অনেক আহত রয়েছেন।
সহিংসতা চলছে রাজধানীর আরও বেশ কয়েকটি এলাকায়। সকালে মেরুল বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা পাশের রামপুরা ও মালিবাগ এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। রামপুরায় বিটিভি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা। সংঘর্ষ চলছে শনির আখড়া এলাকায়।
এদিকে সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। দুপুরে সংঘর্ষে আহত ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়েছেন।