
প্রতীকী ছবি
একক মাসে হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এলো সদ্য বিদায়ী মাস মার্চে। ঈদের আগের মাস মার্চে প্রবাসী আয় এলো ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)।
একক মাস হিসেবে এত বেশি প্রবাসী আয় কখনো আসেনি।
রোববার (৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: আরিফ হোসেন খান।
মার্চ মাসে আসা প্রবাসী আয় আগের বছরের মার্চের তুলনায় ৬৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। আগের বছরের মার্চ মাসে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ঈদের আগের মাসে প্রবাসীরা দেশে স্বজনদের খরচের জন্য বেশি বেশি প্রবাসী আয় পাঠান। সেজন্য অন্য মাসের তুলনায় ঈদের মাসে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়। আগের যেকোনো ঈদের আগের মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এলো সদ্য বিদায়ী মাসে। এমনকি করোনা মহামারির সময়ও বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। করোনার সময়ের সেই আয়কেও পেছনে ফেলেছে মার্চের প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরে বেশি প্রবাসী আয় আনে অক্টোবরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার; ২০২৩-২৪ অর্থবছর জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ডলার।
বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রবাসীরা যোগ দিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানো কমিয়ে দেয়। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন হলে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দেয়। এরপর প্রায় প্রতিমাসেই প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঈদের আগের মাস মার্চে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসে, একক মাস হিসেবে যা অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল।