প্রতীকী ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গোলাব। ফলে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে যে ভ্যাপসা গরম পড়েছে, সেটিও কাটতে শুরু করেছে। তবে ভারী বর্ষণ এখনো শুরু হয়নি।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্যই গরম বেড়েছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে গোলাব (গোলাপ)। এ নামটি দিয়েছে পাকিস্তান, এটির গতিমুখ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও ভারী বর্ষণ বা একটানা বর্ষণ এখনো শুরু হয়নি। তবে আগামী রোববার ও সোমবারের দিকে বৃষ্টিপাত বাড়বে। তখন গরমও কমে আসবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।