
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রাগে দূঃখে বিষাক্ত ট্যাবলেট (স্থানীয় ভাষায় কেড়ির বড়ি) খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইয়াসমিন (৪০) নামে এক গৃহবধূ।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকার অটোচালক হারুণ অর রশিদের স্ত্রী এবং একই উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের তাতুযাকান্দা এলাকার ছাত্তারের মেয়ে। পরিবাররে দাবী, ইয়াসমিনকে কৌশলে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, নিহেতর স্বামী হারুণ অর রশিদ জনৈক প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে পরকিয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে তিনি প্রায় সময় স্ত্রী ইয়াসমিনকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন রাতে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী হারুণ অর রশিদ ইয়াসমিনকে মারপিটে আহত করেন। এতে রাগে দূঃখে ইয়াসমিন প্রথমে পাশের বাড়ির মাবিয়ার ঘরে বসে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করেন। পরে নিজ ঘরে গিয়ে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াসমিনের নাকে মুখে রক্তের দাগ রয়েছে।
নিহতের চাচা নাসির উদ্দিন জানান, ইয়াসমিনের স্বামী প্রায় যৌতুক দাবী করতো। যৌতুকের টাকা না দিলে আমার ভাতিজীকে মারপিট করতো। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। আমরা থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা রিসিভ করেনি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি আত্মহত্যা।