বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

|

চৈত্র ১৮ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আড়াইহাজারে মধ্য-নিম্নবিত্তের ভরসা মাংস সমিতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৩০ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ২৩:২৭, ৩০ মার্চ ২০২৫

আড়াইহাজারে মধ্য-নিম্নবিত্তের ভরসা মাংস সমিতি

প্রতীকী ছবি

ঈদ মানেই আনন্দ, আর ঈদের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হলো গরুর মাংস। তবে বাজারের চড়া দামের কারণে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে ঈদে বেশি পরিমাণে মাংস ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই সংকট মোকাবিলায় আড়াইহাজার উপজেলার দুই শতাধিক 'মাংস সমিতি' দারুণ ভূমিকা রাখছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে রাখার ফলে সমিতির সদস্যরা ঈদের আগে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মাংস পেয়ে যান, যা তাদের যথেষ্ট স্বস্তি এনে দিচ্ছে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় দুইটি পৌরসভা এবং ১০টি ইউনিয়নের ৩১৫টি গ্রামের মধ্যে প্রায় ২০০টিরও বেশি মাংস সমিতি রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দিন দিন এই সমিতির সংখ্যা বাড়ছে। এসব সমিতির মাধ্যমে সদস্যরা সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে টাকা জমা রাখেন। যিনি ১০০ টাকা করে দেন, তিনি ঈদের আগে ৫-৭ কেজি গরুর মাংস পান। আর যারা ৫০০ টাকা করে দেন, তারা মাংসের পাশাপাশি নগদ অর্থ ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীও পান। 

আড়াইহাজারে মাংস সমিতির ধারণা একসময় কয়েকটি গ্রামেই সীমাবদ্ধ ছিল। ধীরে ধীরে এটি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত কয়েক জন উদ্যোগী ব্যক্তি একত্র হয়ে সমিতি গঠন করেন এবং সদস্য সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখতে সম্মত হন, যা পরে ঈদের আগ মুহূর্তে ব্যবহার করা হয়। 

কড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা নূরে আলম মোল্লা বলেন, "আগে ঈদের সময় বাজার থেকে মাংস কিনতে গেলে অনেক বেশি দাম দিতে হতো। এখন সারা বছর একটু একটু করে টাকা জমিয়ে রাখার ফলে আমরা সহজেই মাংস সংগ্রহ করতে পারছি।" 

আড়াইহাজার সদর এলাকার বাসিন্দা মো. তাহের মিয়া বলেন, "এই মাংস সমিতি শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তদের জন্যও দারুণ সুবিধাজনক। ঈদের সময় বাজারের দাম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না, কারণ আমরা আগেই ব্যবস্থা করে রাখি।"