ফাইল ছবি
খানাখন্দভরা ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী যেন দুর্ঘটনার ফাঁদ!
নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম, গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক এবং বিসিক শিল্পাঞ্চলের রাস্তা চাষাঢ়া পঞ্চবটী সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই কর্মমুখী মানুষ বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং তাদের কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে।
খানাখন্দভরা এই সড়কটি প্রায় চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের মাঝে বিশাল বিশাল গর্ত যেন এক একটা দুর্ঘটনা ফাঁদ। বড় সড়কটিতে ভাঙ্গা ও গর্তের কারণে এখন একলেনে চলাচল করতে হয়। এর মাঝে বৃষ্টি হলে তো বাড়ে দুর্ঘটনা শঙ্কা। প্রায় সময়ই এ সড়কে উল্টে যায় যানবাহন। এতে দুর্ঘটনায় হরহামেশাই আহত হন এপথে চলাচলকারী মানুষজন। প্রায় সময় এখানে নষ্ট হয়ে যায় যানবাহন। মাঝ সড়কে বিকল হওয়া যানবাহন যেন ভোগান্তি ও যানজট বৃদ্ধি করে বহুগুণ। কারণ তখন যানবাহন অপসারণ করাটা দূরূহ কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
এর মাঝে মাত্র ৫-১০ মিনিটের এ সড়কে এসব কারণে যানজটে আটকা পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় যাত্রীদের।
পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ বিসিকের পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে বিসিকের ব্যবসায়ীদের। যে সমস্ত পণ্য পরিবহন করতে হয়তো পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় লাগতো, সেখানে চার-পাঁচ ঘন্টা লেগে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (এডমিন) মোঃ আব্দুল করিম বলেন, তিনটি কারণে পঞ্চবটি মুক্তারপুরের রাস্তার দুর্ভোগ সংঘটিত হচ্ছে। রাস্তার বেহাল দশা, প্রায় সময় চীনা ঠিকাদার কোম্পানি তাদের কাজের জন্য রাস্তা আধা ঘন্টা এক ঘন্টা এমনকি দুই ঘন্টা পর্যন্ত বন্ধ রাখে, এ সময় যে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায় তা পরিষ্কার হতে কখনো সাত-আট ঘন্টা লেগে যায় এবং রাস্তায় গাড়ির অচলাবস্থা পঞ্চপট্টি থেকে চাষাঢ়া এবং পশ্চিম দিকে পাগলা- আলীগঞ্জ পর্যন্ত চলে যায় আর সড়কের বেহাল দশার কারণে অনেক সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং এই ভাঙাচোরা রাস্তার মধ্যে গাড়িটিকে স্থানান্তরিত করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, যার ফলে সড়কে যানজট লেগে যায়। তাই এক্ষেত্রে এসমস্যা সমাধানে ও নাগরিক চরম দুর্ভোগ কমাতে তিনি ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি এবং দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করেন।