ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টায় শ্রমিক লীগ নেতা পলাশের ফতুল্লার আলীগঞ্জ বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ১০-১২ জনের ডাকাত দলটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্রের মুখে ঘরে থাকা নারীদের জিম্মি করে ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২৫ লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পলাশের পরিবার ।
ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা পারিবারিক সূত্র জানায়, ১০-১২ জনের মুখোশধারী ডাকাতের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্রের মুখে শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের পৈত্রিক বাড়ির গেট এবং দরজা ভাঙচুর করে প্রথমে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। ডাকাত দলটির আনুমানিক সবাই মধ্যবয়সী ছিল এবং প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা এবং লাঠি ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে এবং ঘরে ভাঙচুর করে। ওই সময় ঘরে থাকা নারীরা ভয়ে চিৎকার করলে ডাকাত দলের সদস্যরা নারীদেরকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে ডাকাত পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় যে, চিৎকার চেঁচামেচি করলে সবাইকে জবাই করে মেরে ফেলা হবে। ওই সময় ডাকাত দল ঘরের সবাইকে জিম্মির করে আলমারির চাবি নিয়ে সেখান থেকে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা ও ঘরের মহিলাদের ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতি করার জন্য তারা গাড়ি নিয়ে আসে এবং গাড়িতে করে সবাই পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কাউসার আহমেদ পলাশ শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এই নেতা বাড়িতেই ছিলেন। তার নামে ছাত্র জনতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। তবে ডাকাতির ঘটনার সময় তিনি বাসায় উপস্থিত ছিলেন না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস এম জহিরুল ইসলাম জানান, শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী ছয় ডাকাত বাড়ীর দ্বিতীয় তলার গ্রীল কেটে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত- মুখ বেধে একটি রুমে আটকে রাখে। পরবর্তীতে বাড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় তলার প্রতিটি রুমে তল্লাশী করে ঘরে থাকা ১৫ শত ডলার, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ১২০ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় এক রাউন্ড গুলিও করে। তবে এ বিষয়ে (গুলি করা) এখনো সুনির্দিস্ট কোন প্রমাণ মিলেনি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।