প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমনকে ৯ টুকরা করে হত্যার ঘটনায় দায়ে করা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ ও র্যাব-৭।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১১’র সিপিসি-১’র কোম্পানী কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা এলাকায় র্যাব-১১ ও র্যাব-৭’র যৌথ অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আহম্মদ আলী (৬৬) ও সেন্টু মিয়া (৩৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি হোসনা বেগম (৫৮)।
র্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ জুন স্কুলছাত্র মোঃ ইমন হোসেন (১৪) তার দাদার সাথে নিজ বাড়িতে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত সাড়ে ৮টায় এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ভিকটিমকে কৌশলে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভিকটিমের পিতা পরের দিন থেকে আশ-পাশের এলাকাতে অনেক খোঁজাখুজির পরও ভিকটিমকে খুজে পায়নি। ২০১৩ সালের ২২ জুন ভিকটিমের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পাশে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে ভিকটিম ইমনের ৯ টুকরা খন্ড-বিখন্ড গলিত লাশ পাওয়া যায়। উল্লেখিত আসামিদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিলো। ভিকটিমের পরিবারের সাথে ঘটনার আনুমানিক দেড় বছর পূর্বে পারিবারিক কলহের জের ধরে আসামিদের সাথে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে মারামারি হয়। উক্ত মারামারির মামলায় আসামি আহম্মদ আলী আঘাত প্রাপ্ত হন। এই বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা হলেও আসামিদের ভিকটিমের পরিবারের উপর আক্রোশ থেকে যায়। এই শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভিকটিম মোঃ ইমন হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরা করে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা লোক মারফাত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের লাশ সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত ইমনের পিতা বাদি হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ২০২২ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম ছাবিনা ইয়াছমিন স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদন্ড রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এই মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।