ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধূ লামিয়া আক্তার ফিজা মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়নি। শুক্রবার দুপুরে অপমৃত্যু মামলা গ্রহন করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তে হত্যার রিপোর্ট আসলে স্বামী শশুরসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা নিবেন পুলিশ। তবে এঘটনায় গ্রেফতারকৃত তোফাজ্জল হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শরীফুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় শশুর বাড়ির জানালার গ্রীল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লামিয়া আক্তার ফিজার (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়। ওসময় ফিজার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্না তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ পরিবারের সকলে আত্মগোপন করায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এরআগে থেকেই ফিজার সাথে তার স্বামী মুন্না ও তার পরিবারের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এতে ফিজাকে একাধীকবার মারধরও করেছে মুন্না।
এবিষয়ে ফিজার বাবা মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলা দায়েরর জন্য একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মুন্না তার বাবা মনির হোসেন মনু তার মা আকলিমা বেগম বোন মুন্নী চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন তার বড় ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নুর ইন্দনে ফিজাকে তার স্বামী মুন্না হত্যা করে মৃতদেহ জানালার সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
ওসি বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানাযাবে। মৃত্যুর সঠিক কারন যেনেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করতে হবে। লামিয়া আক্তার ফিজা ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলি এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। ২০২০ সালের ১৪ আগম লামিয়া আক্তার ফিজাকে মুন্নার কাছে বিয়ে দেয়। তাদের সংসারে ২বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।