শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

|

ফাল্গুন ৮ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

৬ ঘন্টা লিংক রোড অবরোধে চরম দূর্ভোগে দিন কাটে পথচারীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৬ ঘন্টা লিংক রোড অবরোধে চরম দূর্ভোগে দিন কাটে পথচারীদের

বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও শ্রমিক ছাটাই বন্ধের দাবীতে তিন দিন বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করার পর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ইউরোটেক্স গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবী ধাওয়া আপোষ করে কারখানায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

এতে বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় ফিরে গিয়ে দেখেন মালিক পক্ষ ফের ৯৬জন শ্রমিককে ছাটাই করে গেইটে নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছেন। এবিষয়ে প্রতিবাদ জানালে মালিকপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও লাঠি হাতে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ৮/১০ জন শ্রমিক আহত হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকই আশপাশের কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টায় ইউরোটেক্স, মাহমুদা ও সাকুরাসহ ৪/৫টি গার্মেন্টসের কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ বন্ধ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করেন। এতে লিংক রোডের উভয় পাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে লিংক রোডের সাইনবোর্ড থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ যানজটের কারনে অনেক অভিভাবক তার শিশু সন্তানকে স্কুল থেকে দীর্ঘপথ হাটিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। অনেক অসুস্থ রোগীকেও দীর্ঘসময় যানজটের কবলে আটকে ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন কলকারখানার মালবাহী ট্রাক ও কভার্ডভ্যান যানজটের কবলে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৫টায় শ্রমিকরা প্রশাসনের অনুরোধে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেয়। এতে ৬ ঘন্টা সড়ক অবরোধে লাখ লাখ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, মালিক পক্ষের অন্যায় আবদারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর করানো হয়। এপর্যন্ত অনেক শ্রমিক সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে। অনেক শ্রমিক ভয়ে কাজ ছেড়ে দিয়ে পালিয়েগেছে। মঙ্গলবারও শ্রমিকদের উপর মালিকের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এতে ৮/১০জন শ্রমিক আহত হয়। তখন পুলিশ সামনেই ছিলো। ইচ্ছে করলে সন্ত্রাসীদের আটক করতে পারতো। কিন্তু কিছুই বলেনি। যখন শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

শ্রমিকদের দাবী কোন শ্রমিক ছাটাই চলবেনা। যদি ছাটাই করতে হয় তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিক ছাটাই করতে হবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

মালিকপক্ষের দাবী শ্রমিকরা যা বলছে তা সত্য নয়। তাদের উস্কে দিচ্ছে কোন একটি মহল। যারা কারখানায় কাজ করে শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে তাদেরকেই ছাটাই করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ আমরা শুনেছি। আমরা বলেছি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। তাদের অনুরোধ করার পর সাড়ে ৫টায় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। মালিক ও শ্রমিকদের বিষয়ে সমাধান করবেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।