বিক্ষোভ
বন্দরে মসজিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব্য প্রদানসহ মসজিদ কমিটির কাছে আয় ও ব্যায়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ কমপক্ষে ৬ জন মুসল্লী গুরুত্বর জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলো ইমন (১৮) মনির হোসেন (৫২) খৈয়াম (২৮) এবাদত (২২) রাজিয়া বেগম (৩৮) ও সাগর (৩০)। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছে।
২৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা বড় জামে মসজিদ এর সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সোনাকান্দা বড় জামে মসজিদ কমিটি ও পঞ্চায়েত কমিটি বিলুপ্তসহ সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর হাজী শাহেন শাহ নেতৃত্বে বিক্ষুদ্ধ সোনাকান্দা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দর থানা চত্বরে সামনে আসলে ওই সময় বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা বিক্ষোভরত মুসল্লীদের সান্তনা প্রদান করে।
এ ঘটনায় আহত রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও মোখলেস মৃধাসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ২০ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হাজী শাহেন শাহ আহাম্মেদ সোনাকান্দা বড় জামে মসজিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব্য প্রদানসহ ওমসজিদ কমিটির আয় ও ব্যায়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে সোনাকান্দা কেএনসেন রোড এলাকার মৃত হাজী বাদশা মিয়ার ছেলে প্রতিপক্ষ সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও সোনাকান্দা এলাকার হাবিবুল্লাহ মৃধার ছেলে মোখলেস মৃধা একই এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে আরমানহাজীপুর এলাকার মৃত কলি প্রধানের ছেলে মনু মিয়া, রুপালী আবাসিক এলাকার মৃত মোস্তফা হাওলাদারে ছেলে তিন ছেলে ইয়া নবী ওরফে সাইফুল ও তার দুই ভাই সাইদুর ও কালু ওরফে কাইল্লা, সোনাকান্দা এলাকার সহিদুল হাসান মৃধার ছেলে অতুল মৃধা, একই এলাকার খোকন মৃধার দুই ছেলে সানজু মৃধা ও তার ভাই বাপ্পি মৃধা একই এলাকার ভিক্টর মৃধা ছেলে আলিফ মৃধা একই এলাকার মৃত শফিউল্ল্যাহ ছেলে এবাদুল্লাহ, মৃত জয়নাল সরদারের ছেলে দেলোয়ার মৃধা ও হাবিবুল্লাহ মৃধার ছেলে শিপলু মৃধাসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী উল্লেখিত মসজিদের সামনে অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা মসজিদের ৫ মুসল্লীকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। লোকজনের মাধ্যমে ঝগড়া খবর পেয়ে আহত ইমনকে বাঁচাতে তার মা রাজিয়া বেগম এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা ওই মহিলাকে বেদম ভাবে মারধর করে শ্লীতাহানী করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় মসজিদ কমিটি গঠন ও আয় ব্যায় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় উক্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময়ে রক্তক্ষতি সংঘর্ষের আংশকা প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।