বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

|

মাঘ ১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের দেয়া আগুনে পুড়ে গৃহবধূর মৃত্যু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:১২, ২১ নভেম্বর ২০২৩

রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের দেয়া আগুনে পুড়ে গৃহবধূর মৃত্যু 

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের দেয়া আগুনে পুড়ে বিউটি বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ১১ টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে তিনি মারা যান।

তার আগে সোমবার বিকেলে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ভক্তবাড়ি এলাকায় ওই বৃদ্ধার বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে৷ 

বার্ন ইনিস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত বিউটি বেগমের শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এঘটনায় নিহত বিউটি বেগমের মেয়ে শিমু আক্তারও দগ্ধ হয়েছেন। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শিমু আক্তার ওই আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন এইচ আর মডেল স্কুলের শিক্ষক।

পুলিশ ও ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ওরফে হারেজের সঙ্গে একই এলাকার জমি ব্যবসায়ী জাহের আলীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এর জেরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে মো: মতিন মারধরের শিকার হন। ঝগড়ার সময় বিউটি বেগমের ছেলে বেলায়েত হোসেন জাহের আলীর পক্ষ নেয়। 

এর জেরে বিকেলে হাবিবুর রহমানের ছেলে মো: জুয়েল দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজন লোক নিয়ে বিউটি বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে তারা বিউটি বেগমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে তার ঘরের দড়জায় আগুন দেয়। আগুন ঘরের পাশে থাকা রান্না ঘরে ছড়িয়ে পড়লে বিউটি বেগম দগ্ধ হন৷ তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিউটি বেগমের মেয়ে শিমু আক্তারের হাত ঝলসে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে বিউটি বেগম ও শিমু আক্তারকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিউটি আক্তারকে বার্ন ইনিস্টিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যুর হয়। 

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) আবির হোসেন জানান, বাড়ি ঘরে হামলা ও আগুন দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি৷ এঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷