ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় তীব্র বাতাস ও ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় সকল গ্রাম রাত থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে। এতে করে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।
সোমবার (২৭ মে) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, রাত থেকে তীব্র বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ও গ্রামে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন গ্রামে রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। এর মাঝে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নে মেঘনা নদীতে পানি বেড়ে ও জোয়ারের তীব্রতায় নদী ভাঙন শুরু হয়। কয়েকটি গ্রামে দেখা দেয় নদী ভাঙন।
এদিকে রাত থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। অনেকে রাত থেকে পানি উঠাতে না পেরে এখন বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে আছেন। এ ছাড়া উপজেলাজুড়ে তীব্র বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে কাঁচা সড়কগুলোতে পানি জমে তা চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কাও আছে।
উপজেলায় বিশনন্দী ফেরিঘাট বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঝে মাঝে দু একবার ফেরী চললেও তাতে থাকছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
উপজেলায় বিশনন্দী গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান জানান, বৃষ্টিতে আমাদের রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। আমরা পানি উঠাতে পারছিনা। সব মিলিয়ে আছি অনেক সমস্যায়।
কালাপাহাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মহিতুল ইসলাম হিরু জানান, আমাদের মেঘনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে চললে ঘরবাড়িও ভাঙনে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আসাদুজ্জামান জানান, শুধু সদর এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে রোস্টারিং করে। বাকি বিভিন্ন এলাকায় ৩/৪ টি বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারে-খুটিতে পড়েছে। এসব কারণে বিদ্যুৎ দেয়া যাচ্ছেনা, কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছেনা।
উপজেলার গোপালদী পৌরসভার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সরোয়ার জাহান জানান, বিভিন্ন এলাকায় ঝড় বাতাসে বিদ্যুতের তার খুটি পড়ে গেছে, কোথাও কোথায় বিদ্যুতের তারে গাছপালা ভেঙে পড়েছে, এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছেনা।