ফাইল ছবি
অবশেষে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হলো নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা গোদনাইল এলাকার আর কে এগ্রো ফার্মের একটি গরু “শাকিব খান”।
বিষয়টি বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন খামারটির ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদ। এর আগে আজ বিকেলে এক গার্মেন্ট মালিক গরুটি ক্রয় করেন।
এর আগে গত ২৭ মে “যে কারণে কোরবানির পশুর নাম শাকিব খান-জায়েদ খান” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি দেশব্যাপী সাড়া ফেলে।
এ বিষয়ে আর কে এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার সামাদ বলেন, এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ক্রেতা আমাদের খামারে আসেন গরুটি কিনতে। তবে আজ বিকেলে এক গার্মেন্ট মালিক সর্বোচ্চ দামে শাকিব খান নামের গরুটি কিনে নেন। গরুটি বর্তমানে আমাদের খামারেই আছে। ঈদের আগের দিন গরুটিকে মালিকের কাছে পাঠানো হবে। এখনো জায়েদ খান অবিক্রিত করেছে। আশা করছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই গরুটিও বিক্রি হয়ে যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। এবার আমাদের কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৩টি। আশা করি কোনো ঘাটতি হবে না। বর্তমানে এগ্রো ফার্মগুলো ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এখন অনেকেই এই ফার্মগুলো থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনে থাকেন।’
এর আগে আর কে এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ৩ বছরের শাহীওয়াল জাতের ২৫ মণ ওজনের গরুর নাম রাখা হয়েছে শাকিব খান। সাদা ধুসর রঙের গরুটি লম্বায় প্রায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট। এর দাম হাঁকা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা।
গরুটির এমন নামকরণের বিষয়ে আর কে এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আদর করে গরু দুটির এমন নাম রেখেছি। শাকিব খান গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর। ছোট থেকেই গরুটি লালন-পালন করছি। তখন থেকেই সবাই গরুটিকে ভালোবাসছে। গরুটি রাজার মতোই হাঁটে। ওর মধ্যে সব সময় কিং খানের মতো একটা ভাব থাকে। আমাদের ভালোবাসার ও পছন্দের নায়ক হচ্ছেন শাকিব খান। এ কারণে এই গরুর নাম শাকিব খান রেখেছি।