ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষনের ভিডিও দেখিয়ে ব্লাক মেইলিং করে ধর্ষকরা হাতিয়ে নিয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। এতেও ব্লাক মেইলাররা শান্ত হয়নি দাবী করছে আরো টাকা। এ অভিযোগে শুক্রবার সকালে শিবলু ও শাকিল নামে ২ বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
থানায় দায়ের করা গার্মেন্টসকর্মীর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই তরুনী ও আবু হাসান নামে এক যুবক এক সাথে ফতুল্লার বিসিক একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করত। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩০ মার্চ রাতে রোজার ঈদের কেনাকাটা করে দেয়ার কথা বলে গার্মেন্টস কর্মীকে ফতুল্লার পঞ্চবটি ডেকে আনে আবু হাসান। পঞ্চবটি এসে দেখেন আবু হাসান নেই তার দুই বন্ধু শিবলু ও শাকিল দাড়িয়ে আছে। তারা দুজন তরুনীকে আবু হাসানের কথা বলে চাষাঢ়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ওই তরুনী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওষুধ এনে খাওয়ালে সে অচেতনের মত হয়ে যায়। এরপর তাকে শিবলুর পঞ্চবটি গুলশান রোডের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হাত পা রশি দিয়ে বেধে প্রথমে আবু হাসান পরে পর্যায় ক্রমে শিবলু (২৫) ও শাকিল (২৯) ধর্ষন করে। তখন সুমন (২৮) বাসার দরজার সামনে দাড়িয়ে পাহাড়া দেয়। ধর্ষন শেষে তারা একটি অটো রিকশায় উঠিয়ে দিলে তরুনী বাসায় চলে যায়। এরপর থেকে ব্লাক মেইলাররা তরুনীকে ধর্ষনের ভিডিও ইন্টার নেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পর্যায় ক্রমে ব্লাক মেইলিং করে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। এরমধ্যে দুই দফায় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল এক লাখ টাকা বিক্রি করে তাদের দিয়েছে তরুরী। তারপর আরো তরুনীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরবর্তীতে আবারো গত বৃহস্পতিবার ৫০ হাজার টাকা দাবী করলে সে তার আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানায়। এরপর তরুনীকে তার পরিবারের লোকজন থানায় নিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে একটি কম্পিউটার জব্দ করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, এঘটনায় ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।