ফাইল ছবি
দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক আবাসিক এলাকায় গড়েছেন নীলাচল পরিবহনের বাস ডিপো। কয়েক দিন পরপর ঘটছে একের পর এক দূর্ঘটনায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গত এক বছরে ২ জন নিহতসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এলাকাবাসীর চরম বিরোধীতা করার পরও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিনের প্রভাবখাটিয়ে তার ভাই আবু বকর সিদ্দিক আবুল প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আবাসিক এলাকায় গড়েছেন নীলাচল পরিবহনের বাস ডিপো। আবুলের সাথে সহায়তা করে থাকেন মিজমিজি এলাকার চিহ্রিত মাদক ব্যবসায়ী ইয়াছিন আরাফাত রাসেল ওরফে এজন্ট রাসেল। সর্বশেষে শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিজমিজ মৌচাক মতিন সড়ক এলাকায় নীলাচল পরিবহনের বাস চাপায় নন্দলাল দাস (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত শ্রী নন্দলাল দাস, ইলেকট্রিক মালামালের ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যবসায়ীক অংশিদার মোঃ সেকান্দার শরীফ। তিনি বলেন, শরিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় পদ্মা এক্সপ্রেসের ট্রেনে করে রাজশাহী যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এক নিমিষেই নীলাচল গাড়ি আমার পার্টনারের জীবন কেড়ে নিল।
নিহতের খালাতো ভাই হৃদয় দাস বলেন, ‘আমার ভাই ইলেকট্রিকের মালামালের ব্যবসা করতেন। সকালে তিনি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার উদ্দেশ্যে মিজমিজি বাসা থেকে বের হয়ে মৌচাক যাওয়ার পথে মতিন সড়ক এলাকায় নীলাচল পরিবহের একটি গাড়ি (নং ঢাকা মেট্রো ব-১৫-২২৭০) বেপরোয়া গতিতে তাঁকে চাপা দেয়। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাঁকে সাইনবোর্ডের প্রো একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
শ্রী নন্দলাল দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ থানার লালপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি এক ছেলে এক মেয়ের জনক।
নিহতের চাচাতো ভাই হৃদয় দাস বলেন, গাড়িটিতে চালক ছিল না। একজন হেলপার চালাচ্ছিল। যার কারণে দূর্ঘটনা ঘটে। তিনি এ ঘটনার কঠিন শাস্তি দাবি করেন হৃদয় দাস।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত মামলা দেওয়ার জন্য থানায় কেউ আসেনি।