প্রতীকী ছবি
বন্দরে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি কালে ধারালো অস্ত্রসহ মুরাদ হাসান ওরফে খাজা (৩৫) নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে আরো ৭/৮ জন ছিনতাইকারি। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতািকারি মুরাদ হাসান ওরফে খাজা বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে। ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ধারালো ছুরি উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার উপ- পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (১০ জুলাই) ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা রুজু করে। যার মামলা নং- ১৬(৭)২৪। ধৃতকে উল্লেখিত মামলায় বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ীস্থ আকিজ ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে অভিযান চালিয়ে ওই ছিনতাইকারিকে দেশিয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার সাব ইন্সপেক্টর মফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মদনপুর- মদনগঞ্জ সড়কের নবীগঞ্জ এলাকায় টহল ডিউটি থাকাবস্থায়। আকিজ ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে একটি সংঘবদ্ধ দল অস্ত্রেসস্ত্রে নিয়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করলে মুরাদ হোসেন খাজা নামে একজনকে ধারালো ছুরিসহ আটক করে। ওই সময় অন্যান্য ছিনতাইকারিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আটক ছিনতাইকারীকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পালাতক ৬ জনের নাম ঠিকানা সহ ঘটনার স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। মামলার পলাতক আসামিরা হলো, উপজেলার মদনপুর ইউপির কেওঢালা গ্রামের মৃত জহির মিয়ার ছেলে মাসুদ, ধামগড় ইউপির জাঙ্গাল গ্রামের মিন্নত আলীর ছেলে ইমরান মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীর নাসিরউদ্দিনের ছেলে শহীদুল, বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ইমন, এনায়েতনগর এলাকার নারায়ন দাসের ছেলে সঞ্জয়, বন্দর রূপালী আবাসিক এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সজল। পুলিশ পলাতক ছিনতাইকারিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রেখেছে।