মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ৩১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

রূপগঞ্জে বালু ভরাট নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে বালু ভরাট নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানের বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। 

শুক্রবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার আতলাসপুর এলাকায় বালু ভরাট নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই আতলাসপুর এলাকার দুইটি পক্ষ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। 

একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন, ভুলতা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি আব্দুল সামাদ। আরেক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন, ভুলতা ইউনিয়ন  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সেলিম মোল্লা। আতলাসপুর এলাকায় পেপারটেক কারখানা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বালু ভরাটের কাজ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আব্দুল সামাদের সঙ্গে সেলিম মোল্লার বিরোধ  চলে আসছিল। 

গত (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১  টার দিকে আতলাসপুর বেলতলা এলাকায় বালু ভরাটের ড্রেজারের পাইপ টানা নিয়ে তাদের দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই রূপগঞ্জ থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। 

এদিকে, পারিবারিক শত্রুতার যে ধরে আব্দুল সামাদ বাদী হয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযুক্তদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী কাউসার আহমেদ ও তার পিতা আওলাদ হোসেনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী । আব্দুল সামাদের সম্পর্কে আওলাদ হোসেন আপন চাচাতো ভাই ও কাউসার আহমেদ চাচাতো ভাইয়ের ঘরে ভাতিজা হয় ।

কাউসার আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক শত্রুতা থাকায় আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাচা আব্দুল সামাদ আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

অপরদিকে, গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে আবারো দু পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে আব্দুল সামাদ বলেন, বালু ভরাটের বিষয় নয়। আমার জমি দিয়ে ট্রেজার পাইপ নিতে গেলে বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। 

অপরদিকে সেলিম মোল্লা বলেন, নিয়ম-নীতি মেনে পেপারটেক কারখানায় বালু ভরাট করার জন্য পাইপলাইন টান ছিলাম। বালু ভরাটের কাজটি ছিনিয়ে নিতে আব্দুল সামাদসহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে। 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, দলের নির্দেশ কেউ কোন জায়গায় কোন ব্যাপারে সংঘাতে জড়াতে পারবেনা। আর যদি জড়ায় এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় প্রয়োজনে দল থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি/তদন্ত জোবায়ের হোসেন বলেন, বালুভরাটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।