প্রতীকী ছবি
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলাসহ উভয় পক্ষের ৮ জন জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় উভয় পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় গোটা এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। আহতরা হলো রানা (২১) বাদশা (২৮) তাফসির (২৪)। অপরপক্ষে আহতরা রিনা বেগম (৪০) নূর বানু (৭০) সামির (১৮) আল আমিন (১৭) আবুল বাশার (৫৫)। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ বিকেল থানায় পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
প্রত্যেক্ষদৃশি ও আহত সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মোঃ করিম মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় ঝুট ব্যবসা করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝুট ব্যবসায়ী মোঃ হোসেন উল্লেখিত এলাকায় ঝুট ক্রয় করার সময় বন্দর থানার পূর্ব হাজীপুর এলাকার আলমচাঁন মিয়ার সন্ত্রাসী ২ ছেলে খোকন ও আবুল বাশার এবং একই এলাকার আব্দুল মোতালেব মিয়ার ছেলে শহিদ ও আবুল বাসার মিয়ার ছেলে হাবিবসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাজের লোক রানা,বাদশা ও তাফসিরকে হত্যার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
এদিকে অপর পক্ষের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার পূর্ব হাজীপুর এলাকার মৃত আলম চাঁন মিয়ার ছেলে খোকন চাঁনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম ও একই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে জীবন, একই এলাকার মৃত সামছুল মিয়ার ছেলে শাহআলম, করিম মিয়ার ছেলে হোসেন, আমিনুল ইসলামের ছেলে শাওন ও খোরশেদ মিয়ার ছেলে আশিকের সাথে পূর্বশত্রুতা চলে আসছিল। সে সুবাদে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে ২১৮/২৪ নং একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ( ১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার সময় উল্লেখিতরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খোকন চাঁনের বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। ওই সময় খোকন চাঁন বিবাদীগনকে গালাগালি করতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী হুকুমে সকল বিবাদীগনসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে রিনা বেগম (৪০) নূর বানু (৭০) সামির (১৮) আল আমিন (১৭) আবুল বাশার (৫৫)কে বেদম ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।