প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে নিলুফা বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে ফতুল্লা মডেল থানার গাবতলী হালিম মিস্ত্রীর ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ শান্ত (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে।
নিহত নিলুফা বেগম কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার নৈয়ার বাজারের মৃত গণি মিয়ার স্ত্রী। বর্তমানে সে ফতুল্লা থানার গাবতলী নতুন বাজারস্থ হালিম মিস্ত্রীর বাড়িতে একাই ভাড়ায় বসবাস করতো এবং সে মাসদাইরস্থ সুমন গার্মেন্টসে কাটিং সেকশনে কাজ করতো।
আটককৃত শান্ত কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার অনন্তপুর পশ্চিমপাড়ার শামীম মিয়ার পুত্র।
নিহতের পুত্র নাছির জানায়, তার মা ঐ বাড়িতে একাই বাড়ায় বসবাস করতো এবং স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাটিং সেকশনেয় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিল। সোমবার ভোর ৫ টার দিকে তার মা নিলুফা বেগম রান্না ঘরে রান্না করার সময় দেখতে পান আটককৃত ঐ যুবক তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে জানালার গ্লাস ভাংচুর শুরু করে। এতে তার মা বাধা প্রধান করলে আটককৃত শান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে থাকা লাঠি দিয়ে নিহতের মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। নিহতের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোরের দিকে নিহত নিলুফা বেগম রান্না করা কালীন সময়ে ঐ যুবক লাঠি নিয়ে জানালার গ্লাস ভাংচুরকালে বাধা প্রধান করে। এতে শান্ত নিহতর নিলুফা বেগমের মাথা সজোরে লাঠি দিয়ে একাধিক আঘাত করলে সে অচেতন হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পরে। পরে হাসাপাতালে নেয়া হলে সে মারা যায়। নিলুফা বেগমকে কেন হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। আটককৃত যুবক কেন এবং কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ঐ বাসায় গিয়ে ভাংচুর করছিলো সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আটককৃত শান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে সে মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো আচরন করছে। যতোটুকু জানতে পেরেছি আটককৃত শান্ত মতিঝিল দেওয়ানবাগ দরবারের উট খামারে কাজ করে।