ফাইল ছবি
বন্দরে কৃষি সেচ প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মহিলা মেম্বারসহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলো বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাজুরবাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আমান উল্ল্যাহ (৪০) ও তার স্ত্রী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাভলী বেগম (৩৬) ছেলে সোহান (২১) বালিগাও এলাকার আদম আলী মিয়ার ছেলে আহাদ আলী ( ৫৫) বাঙ্গালবাড়ী এলাকার তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে বাহাউদ্দীন (৩৫)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জহিদ্দা বিলে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আহত সেচ প্রদানকারি আহাদ আলী বাদী হয়ে হামলাকারি সন্ত্রাসী পাপ্পু, তারা মিয়াসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরির্দশন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাজুরবাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আমান উল্ল্যাহ দীর্ঘ দিন ধরেমুছাপুর ইউনিয়নের জহিদ্দা বিলে সেচ প্রদান করে আসছিল। এ সুবাদে বালিগাও এলাকার হযরত আলী মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে পাপ্পু ও পিচকামতাল এলাকার মৃত সায়েদ আলী মিয়ার ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি বর্তকিত নেতা ও স্থানীয় চাঁদাবাজ তারা মিয়াগং সেচ প্রদানকারি আমান উল্লাহ নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা রোববার সকাল সেচ প্রদানকারি আমান উল্লাহ উল্লেখিত বিলে সেচপ্রদান করতে আসলে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা তার নিকট পুনরায় চাঁদা দাবি করে। ওই সময় আমান উল্লাহ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এ ঘটনায় চাঁদাবাজ পাপ্পু, বিতর্কিত বিএনপি নেতা তারা মিয়া ও বালিগাও এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ৩ ছেলে ফারুক, খালেক ও আব্দুর রহিম একই এলাকার মৃত আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে হযরত আলী ও নূর ইসলাম মিয়ার ছেলে ইউসুফসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেচ প্রদানকারি আমান উল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্য অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় আমান উল্লাহ প্রান রক্ষার্থে চিৎকার দিলে ওই সময় তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার লাভলী বেগম ও তার ছেলে সোহান একই এলাকার আহাদ আলী ও বাহাউদ্দিন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা তাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ নিলাফুলা জখম করে পালিয়ে যায়।