প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে লিলি বেগম (৫০) নামের এক নারী গতকাল সোমবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জমিজমা বিরোধ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতে শিমরাইল টেকপাড়ার চান্দু মাধবর, ও তার ছেলে মনির হোসেন, গণি মিয়া, গণি মিয়ার ছেলে ওয়াদুদসহ শতাধিক লোক নিয়ে ভুক্তভোগী আশাবুদ্দিন ও তার পরিবারের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় একই পরিবারের আশাবুদ্দিন(৫৫), ছেলে মোঃ নাঈম (৩৪), নাজমুল (৩২), ইমু (৩০), রোমান হোসেন (২৪) ও লিলি বেগম (৫০) গুরুতর আহত হন।
হামলার শিকার শিমরাইল টেকপাড়ার আশাবুদ্দিনের অভিযোগ, নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় আমার একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার চান্দু মাধবর এর সাথে। দীর্ঘদিন পর আদালতে মামলায় রায় পান আশাবুদ্দিন । আদালতের রায়ের পর গত রোববার সকালে আশাবুদ্দিন ওই জমিতে গেলে প্রতিপক্ষ চান্দু মাদবর ও তার ছেলে মনির এর নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত লোক নিয়ে আশাবুদ্দিন ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়৷ এ সময় পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৬ জনকে গুরুতর আহত করে অভিযুক্তরা।
আশাবুদ্দিনের অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবসহ একদল পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে আশাবুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও পুলিশ ওই সময়ে কোন সহযোগিতা করেনি উল্টো পুলিশ আমাদের ৬ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ পিকাপে তুলে আদমজী এলাকায় নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এদিকে পুলিশের সামনে হামলা ও গাড়িতে তুলে নিয়ে আদমজীতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব বলেন, আমি তাদের সহযোগিতা করেছি আমাদের সামনে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মামলা গ্রহন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। দেড় শতাধিক লোক আহতদের আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। আমরা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ওসি বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাচ্ছে না।
এদিকে নারীর লাশ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অবরোধ ও বিক্ষোভ শেষে লাশ নিয়ে চলে যাওয়ার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।